Gaza (Photo Credit: Twitter)

এবার আর সীমান্তবর্তী অঞ্চল নয়, একেবারে গাজা শহরে ঢুকে পড়ল ইজরায়েলি সেনা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব অংশের রাস্তা কেটে দিয়ে গাজায় ঢোকে ইজরায়েলি বাহিনী। শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক নিয়ে ইজরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনী ঢুকে পড়ল গাজা সিটি-তে।  হামাস বাহিনীর টানেলে হানা দেওয়াই প্রাথমিক লক্ষ্য ইজরায়েলির সেনার। আপাতত বড় কোনও প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি ইজরায়েলি সেনাকে। তবে গাজা সিটিতে হামাস-এর প্রতিরোধের মুখে পড়তে হতে পারে আইডিএফ-কে।

এই অভিযানের আগে গাজার সাধারণ মানুষদের মধ্যে বিমান থেকে বেশ কয়েক হাজার লিফলেট ছুড়ে দেয় ইজরায়েল সেনা। তাতে গাজাবাসীদের জন্য পাঁচটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়। সেগুলি হল ১) ইজরায়েলি সেনা দেখলেই দুটো হাত তুলতে হবে, ২) ইজরায়েলি সেনা দেখলেই সম্ভব হলে সাদা পতাকা নড়ান, ৩) আইডিএফ-এর নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে, ৪) জল-খাবার নিয়ে আসার দরকার নেই, তার ব্যবস্থা করবে আইডিএফ, ৫) অস্ত্র থাকলে তা আত্মসমর্পণ করুন।

এদিকে, গাজায় (Gaza) তীব্র বোমাবর্ষণের জেরে এবার আরও কঠিন হয়ে উঠছে সেখানকার মানুষের জীবন। পানীয় জল আর না মেলায় এবার নোনা জল খেতে বাধ্য হচ্ছে গাজার শিশুরাও। এমন কথাই জানাল ইউনিসেফ(UNICEF)।

ইউনিসেফের মুখপত্র টবি ফ্লিকার জানিয়েছেন গাজায় যে সাহায্য পাঠানো হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তিনি দ্রুততার সঙ্গে সাহায্য পাঠানোর জন্য আবেদন জানান। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে ক্রমাগত বোমাবর্ষনের মাধ্যমে গাজাকে প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ইজরায়েল। বেড়েছে নিহতের সংখ্যাও। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হলেও হামাসের সুবিধা হয়ে যাবে দাবি করে তা করতে রাজি হচ্ছে না ইজরায়েল। একপ্রকার জাতিসংঙ্ঘের তোয়াক্কা না করেই হামাসের বিরুদ্ধে হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। এর ফলে ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্যালেস্তাইনের সাধারণ মানুষ।