ইজরায়েলকে (Israel) সাঁড়াশি আক্রমণের মাধ্যমে দমাতে চাইছে লেবানন (Lebanon), ইরানের (Iran) মতো দেশগুলি। ইসমাইল হানিয়াহর (Ismail Haniyeh) মৃত্যু এবং ফুয়াদ শুকুরের (Fuad Shukr) মৃত্যুর পর থেকেই ইজরায়েলকে হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশ। সেইমতো শনিবার রাতে লেবানন লাগোয়া ইজরায়েলের এক রাজ্যে রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ ()। যদিও সেই হামলা সফলভাবে প্রতিরোধ করে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। জানা যাচ্ছে, কয়েকটি রকেট অবশ্য  বিট হিলেল এলাকার ফিঙ্গার অফ গ্যালিলে পড়ে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর নেই। কারণ রকেটগুলি নির্জন জায়গায় পড়েছিল। আর বাকিগুলি আকাশ পথেই নিস্ক্রিয় করেছে ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

অন্যদিকে, আগামী সোমবার ইজরায়েলে হামলা চালানোর কথা নিশ্চিত করেছে ইরান। জানা যাচ্ছে এই নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ইরান। তাঁরা আগেই জানিয়েছিল যে হামাস প্রধান হানিয়াহর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবে। সেইমতো হামলা চালানোর আগেই লেবানন হামলা চালিয়ে দেয়। সেই কারণে মধ্যস্থতায় নেমেছে আমেরিকা। জো বাইডেন মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ইজরায়েলে এই মুহূর্তে হামলা করা চলবে না। ফলে আমেরিকার আর্জি আদৌ পেজেশকিয়ান মানবেন কিনা এখন সেটাই দেখার।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইরানের তেহরানে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় হানিয়াহর। ইরানের ঘরে ঢুকে ইজরায়েলের এই সাহসী হামলা নিয়ে বেজায় চটে রয়েছে মাসুদ পেজেশকিয়ান। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর সেনা কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরের মৃত্যু হয় লেবানন বেইরুটে। আর এরপর তিন দেশের মধ্যে সমীকরণ পাল্টাতে শুরু করেছে। আগে যেখানে লুকিয়ে চুড়িয়ে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতো দুই দেশ। এবার সেখানে সম্মুখ সমরে নামার হুঙ্কার দিয়েছে ইরান ও লেবানন।