Laser Iron Dome. (Photo Credits: X)

Laser Iron Dome: নিজেদের দেশকে শত্রুপক্ষের মিসাইল, রকেট সহ আকাশপথ থেকে উড়ে আসা শক্তিশালী বোম্ব, ড্রোন থেকে বাঁচাতে তাদের বিশ্বখ্যাত আয়রন ডোন অস্ত্রকে আরও অত্যাধুনিক করল ইজরায়েল। গাজা আক্রমণের পর ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাস, হাউথি, হিজবুল্লা-দের একের পর শক্তিশালী ঘাতক মিসাইল সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে। কিন্তু সেসব ঘাতক মিসাইল অনায়াসে ধ্বংস করে গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল ইজরায়েলের আয়রন ডোম। ইরানের আক্রমণও ভোঁতা করে দিয়েছিল আয়রন ডোম। এবার সেই আয়রন ডোমে ইজরায়েল যোগ করছে লেজার প্রযুক্তি। চলতি বছরের শেষের দিকেই ইজরায়েলের প্রতিরক্ষায় ডুকে পড়ে লেজার আয়রন ডোম। আয়রন ডোমে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লেজার রশ্মির মাধ্যমে শত্রুপক্ষের সব ছোট-বড় মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এটি। শত্রুপক্ষের অত্যাধুনিক মিসাইলের কাছে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের সফলতার হার ৭৫ শতাংশ নেমে গিয়েছিল। আর এবার লেজার আয়রন ডোমে শত্রুপক্ষের অস্ত্রের কাছে এর সফলতার হার ৯০-৯৫ শতাংশ হয়ে যাবে বলে দাবি ইজরায়েলের।

আর্থিক দিক থেকেও সাশ্রয়ী

রাফায়েলের তৈরি করা এই লেজার আয়রন ডোম আর্থিক দিক থেকেও বেশ সাশ্রয়ী হবে ইজরায়েলের। শত্রুপক্ষের প্রতিটি মিসাইলে ধ্বংস করতে লেজার আয়রন ডোমে খরচ হবে মাত্র ২ থেকে সাড়ে ৩ মার্কিন ডলার। যেটা সাধারণ আয়রন ডোমে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়ে যাচ্ছিল।

দেখুন ইজরায়েলের লেজার আয়রন ডোম

 

চারিদিকে'শত্রু'

দেশটার চারিদিকে শত্রু। একদিকে প্যালেস্টাইনের হামাস, তো অন্যদিকে ইয়েমেনের হাউতি, আবার এক পাশে লেবাননের হিজবুল্লা। সঙ্গে তো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ইরান তো আছেই। ইজরায়েলের শত্রুর অভাব নেই। তাদের সবারই লক্ষ্য ইজরায়েলকে বিশ্ব মানচিত্রকে মুছে দেওয়া। আর ইজরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করতে রাশিয়া, চিনের সাহায্যে অত্যাধুনিক অস্ত্র, মিসাইলে তৈরি ইরান, হামাসরা।