দিল্লি, ২৫ জুন: এবার ভয়াবহ খবর প্রকাশ্যে এল। ইজরায়েল এবং ইরানের (Israel-Iran War) যুদ্ধ বিরতি চুক্তির সক্রিয়তা, তা ভেঙে ফেলা, হামলা নিয়ে গোটা বিশ্ব তোলপাড়। আমেরিকা যখন বার বার দুই দেশের মাঝে যুদ্ধ বিরতি হয়েছে বলে দাবি করছে, সেই সময় ইজরায়েলের ৩ গুপ্তচরকে ( Israeli spies) চরম শাস্তি দিল ইরান। রিপোর্টে প্রকাশ, মোসাদের ৩ গুপ্তচরকে পাকড়াও করে তাঁদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে ইরানে। ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজের অভিযোগেই ওই ৩ ব্যক্তিকে ধরে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তেহরানের তরফে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০০ জনকে। এমনই ভয়াবহ খবর উঠে আসতে শুরু করেছে ইরান থেকে।
রিপোর্টে প্রকাশ, ইজরায়েলের সঙ্গে ক্রমাগত যোগসাজস রয়েছে। এমন প্রমাণ মেলার পরই ইরান ওই ৭০০ জনকে গ্রেফতার করে। যদিও ওই ৭০০ জনের শাস্তির নিদান কী দিচ্ছে ইরান, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। যুদ্ধ বিরতি তরজার মাঝে ইরান এবং ইজরায়েলের পরিস্থিতি নিয়ে গোটা বিশ্বে চর্চা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। ইরানও পালটা প্রত্যুত্তর দেয়। ইজরায়েলের আঘাতে যেমন ইরানের ক্ষয়ক্ষতি হয়, তেমনি তেহরান যে মিসাইল ছোঁড়ে, তাতে ইজরায়েলের বেশ কিছু অংশ 'মিনি গাজ়ার' রূপ নেয়। এরপরই আমেরিকা ইরানে হামলা চালায়। ইরানের নাতনজ়, ইসফাহানের মত গুরুত্বপূর্ণ ৩ পরমাণু কেন্দ্রে বোমা ফেলে। এরপর ইরান পালটা উত্তর দিতে কাতারে থাকা মার্কিন সেনা নিবাস লক্ষ্য করে ড্রোন ছুঁড়তে শুরু করে।
ইরানের পালটা প্রত্যুত্তরের পরই ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতিতে তেহরান (Tehran) সম্মত বলে দাবি করেন ট্রাম্প। যদিও মার্কন প্রেসিডেন্টের দাবি নস্যাৎ করে দেয় ইরান। তাঁদের হাত বন্দুকের ট্রিগারে রয়েছে বলে তেহরান জানায়। মঙ্গলবার গোটা দিন ধরে ইরান এবং ইজরায়েলের মাঝে ট্রাম্প যতবার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেন, দুই দেশ ততবার তা ভেঙে হামলা চালায়। যার জেরে ক্ষেপে যান ট্রাম্প। এমনকী সংবাদমাধ্যমের সামনে অপশব্দ ব্যবহার করতেও পিছপা হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।