Photo IANS

বহু দেশের পর এবার নিজেদের দেশের রাষ্ট্রদূতকেও ফিরে আসার ডাক দিল হন্ডুরাস (Honduras)। ৭ ই অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজাতে পাল্টা আক্রমন চালু করেছে ইজরায়েল। এই হামলার উদ্দেশ্য হামাসকে নির্মূল করার থাকলেও তাতে হামাসের থেকে সাধারণ নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন অনেক বেশী পরিমানে। যাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা অনেকটাই।

ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এই আক্রমনকে প্রতিরক্ষা মূলক বলা হলেও এই প্রতিরক্ষার মাসুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ নিরীহ মানুষকে। হামাস নির্মূল হচ্ছে ঠিকই তবে তার তুলনায় বেশি প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। আর এই পরিস্থিতি বারাবর যুদ্ধবিরতি আবেদন জানাচ্ছে বহু দেশ। তবে তাতে থোড়াই কর্ণপাত।

প্রতিরক্ষার দোহাই দিয়ে ইতিমধ্যেই ৯ হাজার মানুষ মেরে ফেলেছে ইজরায়েল।  নিজের মতন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে উপায় না দেখে অবশেষে নিজেদের দেশের রাষ্ট্রদূতকে ফেরানোর ব্যবস্থা শুরু করেছে অনেক দেশ। হন্ডুরাসও তাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার জন্য নিজেদের দেশের দূতকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে বলিভিয়ার তরফে দুদেশের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি চিলি, জর্ডন, কলম্বিয়ার পক্ষ থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

বাহরিনের তরফে থেকে জানানো হয়েছে যে তারা ইজরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। এবং তাদের রাষ্ট্রদূতকেও ইজরায়েল থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়।আব্রাহাম অ্যাকর্ডের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্কে জোড়া লাগানোর ব্যবস্থা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।