Israel Attacks Iran. (Photo Credits:X)

Israel-Iran War: ভারতে তখন গভীর রাত। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার শোকে বুক নিয়েই ঘুমিয়েছিল দেশ। ঘুম থেকে উঠে ফের আতঙ্কের খবর। অবশেষে আশঙ্কার সেই দিন এসে গেল। গতকাল, রাতে ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইজরায়েল। ইজরায়েল যে অপারেশনের নাম দিয়েছে- রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion)। বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায় ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে। ইরান সেনার সদর দফতরেও বড় হামলা চালায় ইজরায়েল। ইরানও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এর ফলে মধ্য প্রাচ্যে পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু একেবারে চূড়ান্ত পর্যায় এসে গেল। ইজরায়েল সাফ জানিয়েছে, যতক্ষণ না ইরান পরমাণু সমঝোতা চুক্তি করছে ততদিন হামলা চলবে। ইরানের পাল্টা হুমকি, যুদ্ধের জন্য তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। ইজরায়েল-ইরানের যুদ্ধে পুরোপুরি চাপে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

ইরানের ৬টি পরমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা, মারা গেলেন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী

ইজরায়েলের 'অপরাশেন রাইজিং লায়ন'-এ ইরানের মোট ৬টি পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মারা গিয়েছেন বলে ইজরায়েলের দাবি।

দেখুন ভিডিও

যুদ্ধ শুরু ইজরায়েল-ইরানের, চাপে ট্রাম্প প্রশাসন

জো বাইডেনকে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে দায়ি করে ভোটে জেতা ট্রাম্প এখন বুঝছেন, প্রতিপক্ষের দিকে আঙুল তোলা যতটা সহজ, তার চেয়ে অনেক কঠিন মধ্য প্রাচ্যে শান্তি আনা। তিনি আমেরিকায় ক্ষমতায় থাকলে, মধ্য প্রাচ্যে অশান্তি হত না দাবি করা ট্রাম্পের এখন মাথায় হাত। এখন আবার ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ইরানের ওপর ইজরায়েলের হামলার ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না। সেখানে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি, তারা সব কাজ আমেরিকাকে জানিয়েই করেছেন। ইরান আবার শুধু ইজরায়েল নয় ট্রাম্পের দেশেও হামলার হুমকি দিয়েছে। যে কারণে হোয়াইটহাউসে সেনাপ্রধানদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এদিকে, ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইজরায়েল জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। আমেরিকায় ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বসানো হয়েছে বিশেষ পাঁচিল। ইরান-ইজরায়েলের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বানিজ্যিক বিমান চলাচল। সবচেয়ে বড় আশঙ্কা হল, পরমানবিক ঘাঁটিতে হামলায় পর আক্রোশে ফোঁসা ইরান এবার হয়তো পরমাণু হামলা করবে। এমনটা মনে করছে মার্কিন প্রশাসনও।

ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা ইজরায়েলের

ইজরায়েলের হামলায় হত ইরানের সেনাপ্রধান

এদিন, ইজরায়েলের হামলার পর ইরানের নাতাঞ্জে পরমাণু স্থাপন থেকে ভয়াবহ আগুন বের হতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে ছাইও উড়তে থাকে। পরমাণু স্থাপনায় বিস্ফোরণের ফলে ক্ষতি ঠিক কতটা বড় হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এর ঠিক পরেই ইজরায়েল বায়ুসেনার মিসাইল আঘাত করে ইরানের সেনা (IRGC)-র সদর দফতরে। প্রাণ হারান ইরান সেনাপ্রধান (Revolutionary Guard) মহম্মদ বাঘেরি সালামি। আকাশপথে ইজরায়েলের একের পর এক হামলায় তেহরান সহ ইরানের বেশ কয়েকটি জায়গায় সাধারণ মানুষের বাড়ি, অফিস ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শতাধিক মানুষের মৃত্য়ু নিশ্চিত হয়েছে। ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খামেনে। এমন খবর উড়িয়ে দিয়ে ইরান জানিয়েছে, খামেনে সুরক্ষিত আছে। ইরান খুব দ্রুত ইজরায়েলকে যোগ্য জবাব দেবে বলেও তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দেখুন ইজরায়েলের হামলা ইরানের সেনাঘাঁটিতে

ইজরায়েলের দাবি

ইজরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন মোট দু দফায় ইরানের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ইরান পরমাণু বোমা তৈরিতে অনেকটা এগিয়ে যাওয়ায়। এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পরমাণু হামলার প্রস্তুতি নেওয়ায়, নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই এই হামলা চাালনো হয়েছে বলে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইজরায়েল অন্তত এক সপ্তাহ যুদ্ধের সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। ইরানও তাদের সীমান্ত মিসাইল সাজাচ্ছে। সব মিলিয়ে মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধের সব আয়োজন তৈরি।