Iranian President Ibrahim Raisi. (Photo Credit:X)

তেহরান, ১৯ মে: ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি (Ebrahim Raisi)-র বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আশঙ্কা। ইরানের পূর্ব আজারাইজান প্রদেশে দুর্গম পাহাড়ের কোলে আছড়ে পড়ে প্রেসিডেন্ট রাইসি-র কপ্টার। তাঁর বিমানে ছিলেন ইরানের এক মন্ত্রীও। প্রেসিডেন্টের খোঁজে উচ্চ পর্যায়ের তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইরানের সেনা। কিন্তু দুর্ঘটনাস্থলে ঘন কুয়াশা, বৃষ্টিতে উদ্ধার কাজ ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। বিমান দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা গিয়েছেন। কিন্তু ইরান সরকার অস্বীকার করে মৃত্যুর কথা। কিন্তু সময় যত যাচ্ছে ইরানের সরকারী আধিকারিকরাও স্বীকার করছেন, একমাত্র আল্লার কৃপা ছাড়া তাদের প্রেসিডেন্টের বাঁচা এখন কঠিন।

খারাপ খবর হল, দুর্গম দুর্ঘটনাস্থলে ইরানের কয়েকজন উদ্ধারকারী গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে তিনজন উদ্ধারকারীর খোঁজ মিলছে না। আসলে এত ঘন কুয়াশায় খুব সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তিকেও চেনা যাচ্ছে না। তার ওপর সেখানে রাত নামতে চলল। এমন অবস্থায় উদ্ধার অবিযান বন্ধ রাখা ছাড়া কোনও উপায় নেই। শোনা যাচ্ছে ইরানের সরকারী টিভিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-কে নিয়ে আবেগপ্রবণ অনুষ্ঠান দেখানো শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে প্রার্থনা।

দেখুন ভিডিয়ো

এদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্টের বিমান দুর্ঘটনায় ইজরায়েলের হাত দেখছে আরব দুনিয়া। ক মাস আগেই ইজরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল ইরান। তখন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ হুমকি দিয়ে বলেছিল, এর চরম মূল্য ইরানকে চোকাতে হবে। সেই মূল্য প্রেসিডেন্টের জীবন হতে পারে তা দু:স্বপ্নেও ভাবেনি ইরান। ইজরায়ালের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-ই পরিকল্পনা করে এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে হামাসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে ইজরায়েল এর দায় নিতে অস্বীকার করেছে। কিছুক্ষণ আগেই ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

চলছে উদ্ধারকাজ

ইরান প্রেসিডেন্টের বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছুটি বাতিল করে ইরান নিয়ে বৈঠক করছেন বাইডেন। এ কথা সবার জানা ইরানের প্রেসিডেন্টের বিমান দুর্ঘটনা বিশ্বের পরিস্থিতি একেবারে টলমল করে দিয়েছে।