তেহরান, ৩ জানুয়ারি: শুক্রবার সাতসকালে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন এয়ার স্টাইক হানায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের সেনাপ্রধান কাসেম সোলেইমানির। এই হত্যার খবরের পরই সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তেহরান। তিনি বর্তমানে ইরানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ইরানের দাবি, ISIS-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সোলেইমানি। এদিকে, তাঁর মৃত্যুর পর রাস্তায় বেরিয়ে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাসের ভিডিও শেয়ার করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। এবার পালটা হুংকার তেহরানের। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির (Iran President Hassan Rouhani) হুমকি, এই “আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে'র ‘ফল ভুগতে’ হবে আমেরিকাকে। প্রেসিডেন্ট রৌহানির আরও হুমকি, শুধু ইরান নয়, ওয়াশিংটনকে জব্দ করবে এই অঞ্চলের স্বাধীন দেশগুলিও।”
রিপোর্ট অনুসারে, হামলায় নিহত হয়েছেন পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (Popular Mobilization Forces) নামে পরিচিত ইরান সমর্থিত একটি সংগঠনের উপ কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসরও (Abu Mahdi al-Muhandis)। ইরাকি আধা সামরিক বাহিনী হাশদ শাবি জানিয়েছে, বিমান হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য এবং দু'জন অন্য ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নির্দেশেই এই হামলা চালিয়েছে অ্যামেরিকার সেনা। এদিকে গত সপ্তাহেই মার্কিন হামলায় তেহরান সমর্থিত ইরাকের আধাসামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হিজবুল্লা গোষ্ঠীর ৩০ জনের মৃত্যুর পর, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। 'বড়সড় মূল্য দিতে হবে' হুমকি দিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় শয়ে শয়ে সেনা পাঠানোর কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আজ ইরানি সেনাপ্রধানের হত্যার পর পেন্টাগনের অভিযোগ, মার্কিন নাগরিক ও সম্পত্তির উপর হামলায় জড়িত ছিলেন সোলেইমানি। আরও পড়ুন-US Strike At Baghdad Airport: বাগদাদ বিমানবন্দরে অ্যামেরিকার বিমান হামলা, নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিসহ ৮
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরানে দুটি টার্গেটে হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ও যানবাহন জ্বলতে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বাগদাদ বিমানবন্দর ও লাগোয়া এলাকায় একের পর এক রকেট আছড়ে পড়ে। এক বিবৃতিতে ইরানের সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত মিডিয়া সেল বলেছে যে রকেটগুলি এয়ার কার্গো হলের কাছে পড়েছিল।