লেবাননে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে হেজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরুল্লাকে। এই হামলার পরেই ইজরায়েলের ওপর বেজায় চটে আছে ইরান। মাসখানেক আগেই ইরানে ঢুকে হামলা চালিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। ইজরায়েলকে রুখে দেওয়া জন্য অতীতে এই হেজবুল্লা, হামাসের মতো সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করা হয়ছিল। একের পর এক বাহিনীর শীর্ষনেতাদের খতম করে দেওয়া ইজরায়েল বিরোধী দেশগুলি বেশ চটেছে তা কিন্তু পরিস্কার। এরমধ্যেই ইরান আবার ইজরায়েলকে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। আর হুমকি নিয়ে ইতিমধ্যেই পাল্টা বার্তা দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
পাশাপাশি আমেরিকাও থেমে থাকার পাত্র নয়। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে ইরানকে হামলা না চালানোর জন্য সতর্ক করেন। যদি কোনও ভাবে হামলা চালানো হয় সেক্ষেত্রে ফল ভালো হবে না বলে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইরান প্রশাসনকে। প্রসঙ্গত, গত সোমবারই আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন। আর সেই বৈঠকের পরেই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সেনা বাহিনীকে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
Iran preparing imminent ballistic missile attack on Israel, US official says, warning of 'severe consequences' for Iran, reports AP
— Press Trust of India (@PTI_News) October 1, 2024
একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেই নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয় দুই দেশের প্রতিনিধির মধ্যে। আমেরিকা আশঙ্কা করছে যে কোনও সময়ে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে ইজরায়েল, লেবানন ও ইরানের মধ্যে। তবে ইজরায়েলকে সবরকমের সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে আমেরিকা। যা নিয়ে ইরান বেজায় ক্ষুব্ধ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।