স্কুলে পরীক্ষা দিতে বসে সন্তানের জন্ম দিল ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) ১৬ বছরের এক ছাত্রী। গত ৩০ নভেম্বর স্কুলে দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালীন আচমকা ক্লাসের মধ্যে থেকে হট্টগোল শুনে ছুটে আসেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। অবাক কাণ্ড। এক ছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় কোলে নবজাত শিশুকে নিয়ে বসে রয়েছে। মেঝে রক্তে মাখামাখি। মায়ের কোলে কেঁদে চলছে সদ্যজাত। এরপরেই মা এবং শিশুকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষা দিতে বসে ছাত্রীর আচমাক সন্তান জন্ম দিয়ে দেওয়ার ঘটনায় একেবারেই হতবাক স্কুলের সকল শিক্ষক এবং অনন্যা পড়ুয়ারা। ঘটনা প্রসঙ্গে এক শিক্ষক যিনি সেদিন ওই পরীক্ষার ঘরে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব ছিলেন জানিয়েছেন, ওই ছাত্রী যে অন্তঃসত্ত্বা ছিল তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। বাকি ছাত্রীদের মত সেও ওই দিন পরীক্ষা দিতে এসেছিল। পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসঘরে শোরগোল ওঠে। ছাত্রীদের চুপ করে শান্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে অনুরোধ করেন তিনি। এরপরেই হঠাৎ এক সদ্যজাত শিশুর কান্না ভেসে আসে। পিছনে গিয়ে দেখতেই শিক্ষকের চক্ষু চড়কগাছ। ক্লাসঘরে বসে সন্তানের জন্ম দিয়েছে এক ছাত্রী।
নবজাত শিশু এবং মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে খবর দেওয়া হয় মেয়েটির পরিবারে। মেয়ে যে অন্তঃসত্ত্বা ছিল পরিবারের কাছেও এই বিষয়টি একেবারে অজানা ছিল। ১৬ বছরের ওই মেয়েটি স্বাস্থ্যবান হওয়ায় তাঁর পরিবার, তাঁর স্কুল শিক্ষক কিংবা সহপাঠীরা কেউই বোঝেনি তাঁর সন্তানসম্ভবা হওয়ার কথা।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, ওই ছাত্রী ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাঁর সদ্যজাত কন্যার ওজন ৩.২ কেজি। সন্তান জন্মের পর বিপুল রক্তক্ষরণ হয়েছে তাঁর। তাই আপাতত হাসপাতালের ইনটেন্স কেয়ারে রাখা হয়েছে মেয়েটিকে।