যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে গাজায় শুরু হল যুদ্ধ বিরতি। ৪৮ দিন পর গাজায় আজ থকে কটা দিনে শোনা যাবে না কোনও মিসাইলের আওয়াজ। বন্ধ থাকবে মৃত্যু মিছিল। এদিন, স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে যুদ্ধ বা সংঘর্ষ বিরতি লাগু হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত গাজা বা প্যালেস্টাইনের কোথাও আক্রমণ বা অভিযান করবে না ইজরায়েল। তার বিনিময়ে রোজ ১৩ জন করে ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে হামাস। তেল আভিভের স্থানীয় সময়ে বিকেল ৪টের মধ্যে প্রথম দফায় ১৩ জন পণবন্দিকে ইজরায়েলের হাতে তুলে দেবে হামাস। অন্যদিকে, গাজায় জ্বালানী তেল, খাবার, ওষুধ দেবে ইজরায়েল।
অবশ্য শুধু যুদ্ধ বিরতি নয়, ইজরায়েলের জেলে বন্দি থাকা প্য়ালেস্টাইন ও হামাসের মোট ১৫০ জনকেও মুক্তি দিচ্ছে ইজরায়েল। যার মধ্যে রয়েছে হামাসের এক মহিলা যোদ্ধা, বেশ কয়েক বছর আগে যে মহিলা জঙ্গি ইজরায়েলের ঢুকে মহিলা-শিশুদের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েল হামাস জঙ্গিদের নজিরবিহীন হামলার প্রতিশোধ নিয়ে ও পণবন্দিদের দেশে ফেরাতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-র দেশ। সেই থেকে গাজায় সমানে আক্রমণ করে চলেছে ইজরায়েল। আকাশপথে, স্থল অভিযানে উত্তর গাজাকে প্রায় পুরোটাই ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ইজরায়েলি সেনা। হামাস জঙ্গিদের নির্মুল করতে গিয়ে গাজায় স্কুল থেকে হাসপাতাল, আশ্রয় শিবির থেকে মসজিদ-গির্জা সবই ধ্বংস করে ফেলেছে ইজরায়েল। হামাসের দাবি, গত ৪৮ দিনে গাজায় ইজরায়েলের হামলায় ১৬ হাজারের কাছাকাছি মানুষ মারা গিয়েছে। যাদের মধ্যে ৫ হাজারের মত শিশুও আছে।
শিশু, নিরীহ মহিলাদের মৃতদেহ, রক্তাক্ত ছবি দেখে আঁতকে উঠেছে বিশ্ব। ইজরায়েলের অভিযোগ, শিশু, মহিলাদের ইচ্ছাকৃতভাবে সামনের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করেছে হামাস। তাদের দাবি, গাজার সাধারণ মানুষদের বাঁচানোর জন্য দক্ষিণ গাজায় সরে যেতে বলা, সেনা কপ্টার-ড্রোন থেকে লিফলেট ফেলে সতর্ক করা হয়েছিল।
ইজরায়েলের দিকেও বহু মিসাইল ছোড়া হয় গাজা থেকে। কিন্তু ইজরায়েলের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আয়রন ডোম থাকায় তাদের তেমন ক্ষতি হয়নি।