Hezbollah chief Hassan Nasrallah killed (Photo Credits: X)

ইজরায়েলের (Israel) ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত লেবাননের (Lebanon) সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লার (Hezbollah) প্রধান নেতা হাসান নাসরাল্লাহ (Hassan Nasrallah)। শনিবার ইজরায়েল সেনাবাহিনীর (IDF) তরফে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বেইরুটে (Beirut) বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে নিকেশ করেছে নেতানিয়াহুর দেশ।

হিজবুল্লার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ হত্যার এই অভিযানকে আইডিএফ বা ইজরায়েল সেনাবাহিনী 'নিউ অর্ডার' নাম দিয়েছে। অপারেশন নিউ অর্ডার সফল হওয়ার খবর বিশ্ববাসীকে জানিয়ে আইডিএফ-এর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এদিন লেখা হয়, 'হাসান নাসরাল্লাহ আর বিশ্বকে আতঙ্কিত করতে পারবেন না'। যদিও সরকারিভাবে ইজরায়েল বাহিনীর এই ঘোষণার আগে হিজবুল্লাহর একজন মুখপাত্রের তরফে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার বেইরুটে ইজরায়েলের বিমান হামলায় অক্ষত রয়েছেন হাসান, যিনি ১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে হিজবুল্লা জঙ্গি সংগঠনের প্রধান হিসাবে নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন। তবে হিজবুল্লা অস্বীকার করলেও হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে দিয়েছে ইজরায়েল।

ইজরায়েল বাহিনী জানিয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আকাশ পথে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হিজবুল্লা প্রধান হাসান সেই সময়ে বেইরুটের দক্ষিণে দাহিয়েহে তাদের সদর দফতরে ছিল। ইজরায়েল বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিকেশ করেছে হাসান নাসরাল্লাহকে।

হিজবুল্লা জঙ্গি সংগঠনকে পুরোপুরি নিঃশেষ করার অঙ্গীকার নিয়ে যুদ্ধে নেমেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। ইজরায়েলের মিশাইল হামলায় একে একে নিকেশ হচ্ছে হিজবুল্লার শীর্ষ নেতারা। আইডিএফ-এর তরফে শনিবার সকালেই জানানো হয়, ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হিজবুল্লার মিশাইল ইউনিটের কমান্ডার মুহাম্মদ আলি ইসমাইল এবং তার ডেপুটি হুসেইন আহমেদ ইসমাইলের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবারের হামলায় হিজবুল্লারর শীর্ষ স্থানীয় কমান্ডার ইব্রাহিম মুহম্মদ কোয়াবিসিকেও হত্যা করেছে ইজরায়েল।

তবে হিজবুল্লা (Hezbollah) দমনে লেবাননের উপর ইজরায়েলের একের পর এক রকেট হামলায় বলি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মহিলা এবং শিশু মিলিয়ে লেবাননে মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছুঁইছুঁই।