Pervez Musharraf: মৃত্যুদণ্ডের আগে মারা গেলে পারভেজ মুশারফের মৃতদেহ ইসলামাবাদের ডি-চকে তিন দিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা হবে, জানাল পাকিস্তান আদালত
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ (Photo credits: Twitter/@P_Musharraf)

ইসলামাবাদ, ২০ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে উত্তাল ভারত। প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানেও বহাল উত্তেজনা। তবে সেটি সম্পূর্ণ অন্য একটি কারণে। সম্প্রতি প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের (Pervez Musharraf) মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে পাকিস্তান আদালত। সেই নিয়েই উত্তেজনা পাক প্রদেশে (Pakistan)। প্রবল ক্ষুব্ধ পাক সেনাও। গতকাল বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে এসেছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালতের বিচারকের সম্পূর্ণ রায়টি। যা নিয়েই রীতিমত চাপের মুখে পাক সরকার। ওই রায়ের একটি অংশে বলা হয়েছে, মুশারফ মৃত্যুদণ্ডের আগে মারা গেলে মৃতদেহ ইসলামাবাদের ডি-চকে তিন দিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা হবে!

রায়ের ৬৬ নম্বর প্যারাগ্রাফে বলা হয়েছে, ‘অসুস্থ মুশারফ যদি মৃত্যুদণ্ডের আগেই মারা যান, তাহলে তাঁর মৃতদেহ ইসলামাবাদের ডি-চকে টেনে আনা উচিত। মৃতদেহ তিন দিন ধরে ঝুলিয়ে রাখা উচিত।’ ইসলামাবাদের ডি-চক পাকিস্তান সংসদের একেবারে কাছে। ফলে বিভিন্ন মহলেই বিতর্ক- ঘুরিয়ে বিচারক (Judge) বলতে চেয়েছেন, সংসদের সামনে মুশারফের মৃতদেহ তিন দিন ঝুলিয়ে রাখতে! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। পাক সেনার তরফে এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়, ‘মুশারফের মৃত্যুদণ্ড একেবারে ধর্ম এবং মানবিকতার বিরুদ্ধে।’ বলা হয়, ‘আমরা আশঙ্কা করছিলাম, মুশারফকে ইচ্ছে করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেটাই প্রমাণ হল রায়ের বিস্তারিত বিবরণে।’ সেনার ঘোষণার পরেই ইমরান খান সরকারের আইনমন্ত্রী ফারোগো নাসিম ঘোষণা করেন, ওই রায় যাতে কার্যকরী করা না হয়। পাক সরকার সেজন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলেরও দ্বারস্থ হবে। সংশ্লিষ্ট বিচারককেও সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হবে সেখানে। আরও পড়ুন: Pervez Musharraf: দেশদ্রোহিতা মামলা: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ড

মুশারফের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে আগেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন পাক সেনার মুখপাত্র। ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, কিন্তু বিস্তারিত রায় (Verdict) প্রকাশ্যে আসার পর আরও ক্ষুব্ধ তারা। এতদিন মুশারফের বিরুদ্ধে যাঁরা সোচ্চার ছিলেন, তাঁরাও এখন রায়ের বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছেন। পাকিস্তানের অনেক বিশিষ্ট আইনজীবী বলেছেন, এভাবে রায় দেওয়া যেতে পারে না। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে টেনেহিঁচড়ে খুনের বিরুদ্ধেই এতদিন ধরে সোচ্চার হয়েছেন পাকিস্তানিরা। আর এমন বিতর্কেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে ইমরান খানের সরকার।