2025 Tianjin SCO Summit: তিয়ানজিনে আয়োজিত এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিনের মাটিতে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সাত বছর পর চিনের মাটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গত পাঁচ বছর ড্রাগনের দেশের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল ভারতের। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির পর আবার ভারত-চিন কাছাকাছি এসেছে। আগামিকাল, রবিবার থেকে চিনে শুরু হচ্ছে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন বা SCO-র দুদিনের সম্মেলনে। এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়াও চিনে এখন কোন কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত রয়েছেন একবার দেখে নেওয়া যাক--
চিনে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলন (৩১ আগস্ট – ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) অংশগ্রহণকারী শীর্ষ নেতাদের তালিকা:
প্রধান অতিথিরা:
১) শি জিনপিং (চীনের প্রেসিডেন্ট):
SCOএর রোটেটিং চেয়ার; উদ্বোধনী বক্তৃতা এবং নতুন সহযোগিতা কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তিনি।
২) ভ্লাদিমির পুতিন (রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট):
SCO সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করবেন ও শি ও মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
৩) নরেন্দ্র মোদী (ভারতের প্রধানমন্ত্রী):
দীর্ঘ ৭ বছর পর চীনে এসেছেন। সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্য ও মার্কিন প্রশাসেনর শুল্ক মোকাবিলা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবেন।
৪) শেহবাজ শরিফ (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী)
CPEC প্রকল্প ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবেন। চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। লক্ষ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক সাহায্য আদায়।
৫) মাসুদের পেজেস্কিয়ান (ইরানের প্রেসিডেন্ট):
পূর্ণ সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণ; পারমাণবিক ও শক্তি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন
৬) আনোয়ার ইব্রাহিম (মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী):
ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে, বাণিজ্য ও সবুজ উন্নয়ন বিষয়ে মনোযোগ দেবেন
৭) প্রবোও সুবিয়ান্তো (ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট):
ASEAN প্রতিনিধিত্ব; ডিজিটাল অর্থনীতি ও BRI প্রকল্পে গুরুত্ব দেন
৮) রেসবেপ তাকিয়্যেপ টোকায়েভ (কাজাকস্তানের প্রেসিডেন্ট):
SCO-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; এশিয়ান সংযোগ ও শক্তি নিরাপত্তা মূল লক্ষ্য।
৯) সাদির জাপারভ (কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট):
সীমানা ও অর্থনৈতিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করবেন; সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
১০) এমোমালি রাহমন (তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট):
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুতে গুরুত্ব
১১) শভকাত মিরজাইয়েভ (উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট):
শিল্প-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর। SCO-এর বিরোধী সন্ত্রাস স্থাপনা ট্যাশকেন্টে হোস্ট করবেন
১২) আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো (বেলারুশের প্রেসিডেন্ট):
সম্প্রতি SCO-র পূর্ণ সদস্য; নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংহততে মনোযোগ
১৩) রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান (তুরস্কের প্রেসিডেন্ট):
ডায়ালগ পার্টনার; শক্তি চুক্তি ও NATO-SCO ভারসাম্য খুঁজছেন। চিন ও রাশিয়াকে আরও কাছে চাইবেন।
১৪) কেরটস মিন চিন (ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী):
দক্ষিণ চিন সাগরে উত্তেজনার মধ্যেও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী।
১৫) কে পি শর্মা ওলি (নেপালের প্রধানমন্ত্রী):
আলোচনায় অংশগ্রহণ। BRI-এর আওতায় অবকাঠামো সহায়তা চান। চিনের থেকে বিশেষ সাহায্য আদায়ের লক্ষ্য।
১৬) মোহামেদ মুইজু (মলদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী):
সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রাধান্য পাচ্ছে
১৭) মুক্তাফা মাদবুলি (ইজিপ্টের প্রধানমন্ত্রী):
বিশেষ বৈঠকে অংশ নেবেন। সুএজ নৌপথ বাণিজ্য ও শক্তি অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা
১৮) মিন অং হ্লেইং (মায়ানমারের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট):
জুন্তা প্রধান-সম্প্রতি; গৃহযুদ্ধের মধ্যে সমর্থন চাইবেন।
১৯) আন্তোনিও গুতেরেস (রাষ্ট্রসংঘ):
বিশেষ অতিথি; গ্লোবাল গভর্নেন্স ও সুসংবর্ধিত উন্নয়নের উপর বক্তব্য দেবেন।
২০) কিম জং উন (উত্তর কোরিয়ার প্রধান শাসক):
SCO সামিটে আসছেন না—কিন্তু WWII সামরিক প্যারেডে যোগ দেবেন (৩ সেপ্টেম্বর); শি ও পুতিনের সঙ্গে তিন-ত্রৈমাসিক একত্রে উপস্থিতির সম্ভাবনা