ওয়াশিংটন, ১৭ মার্চ: করোনাভাইরাসে রোধে প্রথম টীকা (Coronavirus Vaccine) দেওয়া হল মার্কিন মুলুকে। আমেরিকার সিয়াটেলে সোমবার একজনের শরীরে করোনাভাইরাসকে রুখে দিতে প্রথম এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হল। মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, এখন একটাই আশা এই ভ্যাকসিন যেন মারণ রোগকে নির্মূল করতে পারে। তবে এখনও ভ্যকসিনটি সুলভ হবে না, কারণ আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। সবমিলিয়ে তাতে সময় লাগতে পারে ১৮ মাস বা এক বছর। এর মধ্যে দেখতে হবে করোনা তাড়াতেই এই ভ্যকসিন আদৌ কতটা কার্যকরী ও নিরাপদ। ভ্যাকসিনটিকে বলা হচ্ছে এমআরএনএ-১২৭৩, এটি মার্কিন মুলুকের ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়েছে। এনআইএইচ এর বিজ্ঞানীরদের সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরিতে ছিল কেমব্রিজের বায়োটেকনোলজি সংস্থা মোডেরনা।
এনআইএইচ জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটির কার্যকরী কিনা তা দেখতে চলবে পরীক্ষা। এজন্য ৪৫ জন স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছায় ভ্যাকসিনটি নিতে রাজি হয়েছেন। এঁদের বয়সসীমা ১৮-৫৫ বছরের মধ্যে। ৬ সপ্তাহ ধরে তাঁদের উপরে চলবে নজরদারী। প্রথম স্বেচ্ছাসেবককে আজই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মহামারীর ওষুধের জন্য টাকা ঢালছে ওসলোর একটি সংস্থা। মারণ রোগ করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে এমন ওষুধ এখনও কোথাও আবিষ্কার হয়নি। এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লক্ষ ৭৫ হাজার। গত ডিসেম্বরে প্রথম এই মারণ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল মধ্য চিনের উহানে। এএপপি-র রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত সাত হাজারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু মিছিলের শীর্ষে রয়েছে চিন। পরেই ইটালির অবস্থান। আরও পড়ুন- Third Coronavirus Death Reported In India: করোনার গ্রাসে মুম্বই, ভারতে তৃতীয় জনের মৃত্যু কস্তুরবা হাসপাতালে
এদিকে এনআইএইচ-এর সংক্রামক বিভাগের প্রধান অ্যান্টনি ফসি বলেছেন, বাদুড় থেকেই করোনাভাইরাস রোগের উৎপত্তি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন এই কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক আবিষ্কারই জনস্বার্থ রক্ষার অন্যতম শর্ত হতে পারে। সেকারণেই তো প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিনেশনে জোর দেওয়া হল। স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে এই ইন্ট্রামাসকুলার ইঞ্জেকশন বিভিন্ন মাত্রায় দেওয়া হবে। সাধারণত বাহুর উপরিভাগেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। তারপর প্রত্যেকের উপরে থাকবে সতর্ক নজর। দেখতে হবে তাঁরা কোনওভাবে জ্বর বা ব্যথা সংক্রান্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন কি না।