পেনসিলভিনিয়ার বাটলারের সভায় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)-কে দূর থেকে গুলি করে হত্য়ার চেষ্টা করে এক আততায়ী। টমাস ম্য়াথু ক্রুকস (Thomas Matthew Crooks) নামের সেই আততায়ী ট্রাম্পের জনসভার মূল মঞ্চ থেকে কিছুটা দূরে ছাদের ওপর থেকে বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ে। ট্রাম্পের কানে গিয়ে লাগে গুলি। কোনওরকমে বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
আততায়ী টমাস ম্য়াথু-কে কিছুক্ষণ পরেই গুলি করে মেরে ফেলে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীরা। টমাস ম্যাথু-কে নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে আসছে। এই বন্দুকবাজের স্যামসং ফোন ইনক্রিপ্ট করে জানা গেল, সে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করার কিছুক্ষণ আগে ইন্টারনেটে পর্ন ভিডিয়ো দেখতে চেয়ে সার্চ করেছিল। তারপর সেটা দেখে বন্দুকের নলে হাত দেয় টমাস ম্যাথু।
ট্রাম্পকে মারার চেষ্টার আগে বন্দুকবাজ ম্যাথুর ফোনে শুধু একটা মেসেজ আসে। ফোনে ম্যাসেজ করে তার মা ও বাবা জানতে চায়, সে এখনও বাড়ি ফিরছে না কেন? সে কোথায় আছে? বাবার এআর স্টাইলের বন্দুক নিয়েই সে ছাদে উঠে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে শ্যুট করে। কিন্তু তার সেই গুলি একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রস্ট হয়ে ট্রাম্পের কানে লাগে। কানে রক্ত নিয়ে আহত ট্রাম্প হাত তুলে আমেরিকাকে বাঁচানোর স্লোগান দিতে থাকেন। ট্রাম্প কোনওরকমে বেঁচে গেলেও, গুলির আঘাতে প্রাণ হারান জনসভায় উপস্থিত এক ব্যক্তি। দুই ব্যক্তি জখনও হয়েছিল।
বন্দুকবাজ ম্যাথুর বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, ও বেশ কয়েকটি হার্ড ড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কেন সে ট্রাম্পকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তবে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টার পিছনে এফবিআই ইরানের হাত দেখছে।