গত ডিসেম্বরেই সংবাদমাধ্যম তোলপাড় হয়েছিল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) মৃত্যুর খবরে। পাকিস্তানের করাচিতে বিষের জালায় জর্জরিত হয়ে দাউদের মৃত্যু সংবাদ হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময়ে পাকিস্তানে দাউদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলে পরিচিত তথা প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ (Javed Miandad) সহ তাঁর গোটা পরিবারকে গৃহবন্দি করার খবরও প্রকাশ্যে এসেছিল। যদিও পরে মিয়াদাঁদ গৃহবন্দী হওয়ার খবর অস্বীকার করেছিলেন। তবে এবার ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডনের সঙ্গে নিজের আত্মীয়তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার (Javed Miandad)। অনেকেরই অজানা দাউদের মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধরে আবদ্ধ হয়েছেন মিয়াঁদাদের ছেলে। সেই সূত্রে দাউদ এবং মিয়াঁদাদ দুই বেয়াই। দাউদের সঙ্গে তাঁর পরিবারের আত্মীয়তার সম্পর্ককে প্রথমবার গোটা বিশ্ববাসীর সামনে সম্মান জানালেন মিয়াঁদাদ।
এক সাক্ষাৎকারে বললেন, 'এটা আমার জন্য সম্মানের যে তাঁর মেয়ে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছেন'। পারিবারিক সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে প্রাক ক্রিকেটার দাউদের প্রশংসায় বলেন, 'মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন দাউদ। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য দাউদ যা করেছে তা সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে'। তাঁর আরও সংযোজন, এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্বের প্রতি আমার প্রশংসা ও শ্রদ্ধা তোলা রইল।
২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের মেয়ে মাহরুখকে বিয়ে করেন মিয়াঁদাদের ছেলে জুয়ায়েদ। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা রিসেপশন কোনটাতেই দেখা মেনেনি দাউদের। ক্যামেরায় ধরা পড়া কিংবা ছবি এড়াতে নিজের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন তিনি।
দেখুন সাক্ষাৎকারের এক ঝলক...
EX-Pak cricketer Javed Miandad acknowledges family ties with Dawood Ibrahim
(Video:-Hassan Nisar Vlogs)
Read:- https://t.co/pOqL3KrUtI pic.twitter.com/cYs0oxvtIX
— IANS (@ians_india) March 19, 2024
১৯৯৩ সালে মুম্বই শহরের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের বিভীষিকা দেখেছিল গোটা দেশ। সেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ৩০০ মানুষ। ভারতের মাটিতে সবথেকে নৃশংস ও জঘন্য জঙ্গি হামলা বলে চিহ্নিত করা হয় এটিকে। এই হামলার অন্যতম চক্রি দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim) সেই থেকেই নিখোঁজ। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ডনের তকমা দেওয়া হয় দাউদকে। শোনা যায় বেশ কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানে (Pakistan) ঘাঁটি গড়েছে। যদিও পাকিস্তানে দাউদ নেই বলে বার বার দাবি করা হয়েছে ইসলামাবাদের তরফে।