Elon Musk, Donald Trump. (Photo Credits: X)

Elon Musk: আর নয়। বয়কট, ক্ষোভের আগুনের ভয়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটলেন ইলন মাস্ক। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও একতরফা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে পিঠ চাপড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের বহু মানুষ টেসলা-কে বয়কট করেছেন। যে কারণে আমেরিকা থেকে ইউরোপের, বিশ্বের সর্বত্র টেলসা ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে (গাড়ি বিক্রি ৫০ শাতংশের বেশী কমেছে)। এতে টেসলা বোর্ডে একেবারে কোণঠাসা পড়েছেন তিনি। আর তাই মাস্ক সিদ্ধান্ত নিলেন, আগামী দিনে তিনি রাজনৈতিক প্রচারের পিছনে অনেক কম সময় খরচ করবেন। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে আততায়ী হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঠিক তারপরই মাস্ক একেবারে সক্রিয় রাজনীতিতে ঢুকে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের জয়গান গাইতে থাকেন।

মাস্কের দিনের বেশীরভাগ সময়ই এখন রাজনীতি নিয়ে পোস্ট করেন

নিজের এক্স প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পের হয়ে আর বিরোধীদের তীব্র সমালোচনায় ভরিয়ে রোজই বহু পোস্ট করেন মাস্ক। তাঁর এই একপেশে অবস্থান মাস্ক ভক্তরাও বিরক্ত। ব্যবসা বাঁচাতে তাই রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন টেসলা প্রধান। যদিও তিনি আগামী দিনে ট্রাম্পের সব সিদ্ধান্ত ও নীতির পাশে থাকবেন বলে মাস্ক জানিয়েছেন। ফলে রাজনীতিতে সময় কম দেওয়ার কথা বলে, মাস্ক তার বিরুদ্ধে চলা বয়কট ও ক্ষোভ কমাতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

মাস্কের বড় সিদ্ধান্ত

ট্রাম্পের জয়ে ম্যান অফ দি ম্যাচ ছিলেন মাস্ক

প্রচারে রেকর্ড অর্থ খরচ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে ম্যান অফ দি ম্যাচ ছিলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে সব কিছুতেই তার হয়ে ডঙ্কা বাজিয়ে গিয়েছেন দুনিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মাস্ক। বদলে মাস্ক যা করতে চেয়েছেন, সবই তাঁকে করতে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সরকারের খরচ বাঁচানোর নামে একের পর এক সরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থেকে সরকারী কর্মীদের তাড়িয়ে দেশবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন মাস্ক।