ইনস্টাগ্রাম পোস্টে (Instagram) কয়েকটি মাত্র কথা। তারপরই স্বামীকে (Husband) নিজের জীবন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন দুবাইয়ের রাজকুমারী (Dubai Princes) শেখ মাহরা মহম্মদ রাসেদ আল মাকতউম। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কয়েকটি মাত্র কথা লিখে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন দুবাইয়ের রাজকুমারী। শুধু তাই নয়, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরপরই ফ্রান্সের এক র্যাপারের সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেন মাহরা।
রিপোর্টে প্রকাশ, ফ্রেঞ্চ মন্টানা নামে এক র্যাপারের সঙ্গে তড়িঘড়ি বাগদান সেরে ফেলেন মাহরা। জুন মাসে যখন প্যারিস ফ্যাশন উইক হয়, সেই সময় নিজেদের সম্পর্ককে অফিসিয়াল করেন দুবাইয়ের রাজকুমারী। তারপরই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তড়িঘড়ি।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে দুবাইের রাজকুমারী নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে যা লেখেন, তাও বেশ চমকপ্রদ। মাহরা লেখেন, 'ডিয়ার হাসব্যান্ড, তুমি তোমার অন্য সঙ্গীদের নিয়ে থাক। আমি তোমায় ডিভার্স দিচ্ছি। ডিভোর্স দিচ্ছি, ডিভোর্স দিচ্ছি।' পরপর তিনবার বিচ্ছেদের কথা বলে স্বামীর কাছ থেকে পৃথক হয়ে যান মাহরা। তাঁর সেই ইনস্টা পোস্ট সামনে আসতেই, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
জানা যায়, ২০২৪ সাল থেকে ফ্রঞ্চ র্যাপারের সঙ্গে ডেট করছিলেন মাহরা। ৪০ বছরের র্যাপারের প্রেমে হাবুুডুবু খেতে শুরু করেন জুবাইয়ের রাজকুমারী।
মন্টানাকে নিয়ে দুবাইতে ঘুরতে দেখা যায় মাহরাকে। এরপর মন্টানার সঙ্গে দুবাইতে ছুটি কাটানোর একাধিক মুহূর্ত সোশ্যাল হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন দুবাইয়ের রাজকুমারী। তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। মরক্কো থেকে শুরু করে মরুভূমির কোনও নির্জন বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, প্রায় সর্বত্র মাহরা এবং মন্টানাকে দেখা যায়, সময় কাটাতে একসঙ্গে। বিভিন্ন মসজিদ কিংবা প্যারিসের বিলাসবহুল হোটেলেও তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়।
প্যারিস ফ্যাসন উইকে মাহরা এবং মন্টানা যখন একে অপরের হাত ধরে হাজির হন, সেই সময় তাঁদের ভালবাসার কথা জেনে যায় গোটা বিশ্ব।
২০২৩ সালে মাহরার সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ মানা বিন মহম্মদের। তাঁদের দুজনের এক সন্তানও রয়েছে। তবে ২ বছরের সংসার ভেঙে মাহরা বেরিয়ে আসেন। শেখ মানা বিন পরস্ত্রীতে আসক্ত। ফলে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মাহরার সঙ্গে। এই অভিযোগ করেই মাহরা বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসেন।
দেখুন দুবাইয়ের রাজকুমারীর সেই পোস্ট...
WOW!
Dubai princess Sheikha Mahra has divorced her husband over Instagram.
Good for her. pic.twitter.com/s7h5yGcqzr
— Ed Krassenstein (@EdKrassen) July 18, 2024