ইজরায়েলি সেনার (IDF) হামলায় মৃত্যু হয়েছে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Yahya Sinwar)। প্যালেস্টাইন মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস প্রধানের মৃত্যুকে নিশ্চিত করতে তাঁর ডান হাতের একটি আঙুল কেটে এনেছিল ইজরায়েল সেনা। সিনওয়ার মৃত্যুর পরে একেবারে রণং দেহি রূপ নিয়েছে হামাস বাহিনী। তাঁদের নিশানায় এবার ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। শনিবার দক্ষিণ হাইফার সিজারিয়ায় নেতানিয়াহু-র বাসভবনের কাছে একটি বিস্ফোরক ড্রোন হামলা হয়। জানা যাচ্ছে, লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল ওই ড্রোন। প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্রের তরফে জানানো হয়েছে, হামলার সময়ে নেতানিয়াহু এবং তাঁর স্ত্রী বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন না। গাজায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যার দুদিনের মাথায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালাল হামাস বাহিনী।
শনিবার লেবানন (Lebanon) থেকে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক ড্রোন ছোঁড়ে হামাস গোষ্ঠী (Hamas)। ইজরালে বাজতে শুরু করে বিপদ সাইরেন। তবে আইডিএফ (IDF) জানিয়েছে, লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা দুটি ড্রোন তেল আভিভে ধ্বংস করেছে তাঁরা। তবে একটি ড্রোন সিজারিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাসভবনের অদূরে একটি বিল্ডিংয়ে আঘাত হেনেছে। ড্রোন হামলার প্রভাবে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। ভবনের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হামাসের ড্রোন হামলায় কোন হতাহতের খবর মেলেনি।
গত বছর ৭ অক্টোবরে ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল এই হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। হামাস বাহিনীর সেই হামলায় নেতানিয়াহুর দেশে প্রাণ হারিয়েছিল হাজারের বেশি ইজরায়েলি। এরপরেই হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে আইডিএফ। প্যালেস্টাইন মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সমূলে ধ্বংস না করা পর্যন্ত থামবে না ইজরায়েল বাহিনী। বারংবার সে কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন