ওয়াশিংটন ডিসি, ২৩ জুলাই: তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে আফগানিস্তান। ওভাল অফিসের সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)।কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, দীর্ঘ ১৮ বছর আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালানোর পরে আমেরিকা তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসছে। কিন্তু সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে তিনি বললেন, “আমরা ইচ্ছা করলে পৃথিবীর বুক থেকে আফগানিস্তানকে (Afghanistan) মুছে দিতে পারি। কিন্তু তার বদলে আমরা আলোচনার পক্ষপাতী।” আরও পড়ুন-MEA Rejects Donald Trump's Claim: কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা চেয়েছিলেন মোদি! মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি উড়িয়ে যা জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক
এই বৈঠকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, আফগানিস্তান যাতে তালিবানের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হয় তারজন্য সমঝোতার বন্দোবস্ত হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে সমঝোতার ব্যাপারে অনেক দূর এগোন গিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষে আফগানিস্তানে ভোট হবে। তার আগেই আমেরিকা চায় তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হোক। তারপরে ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে আনবেন। যদি এই পন্থায় আশরাফ গনি সরকার সমম্ত হয় তো ভাল। নাহলে বিপত্তি বাড়বে। আমেরিকা চাইলে একসপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধে জিতে আফগানিস্তানকে মুঠোবন্দি করতে পারে। তবে বিনা কারণে এক কোটি মানুষকে হত্যার প্রবৃত্তি নাকি ট্রাম্পের নেই।
এদিকে ট্রাম্পের এহেন আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জলঘোলা শুরু হয়েছে। পাকিস্তান সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছে। কেননা একমাত্র পাকিস্তানের সহায়তায় আফগানিস্তানের আশরফ গনি সরকারের সঙ্গে তালিবানের সমঝোতা সম্ভব। আর আমেরিকা এটাই চাইছে। যদিও ২০১১ সালে পাকিস্তানের মাটিতে আমেরিকা আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করার পরে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। কিছুদিন আগে অবশ্য আইএমএফ পাকিস্তানকে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে। তালিবান প্রসঙ্গে আমেরিকাকে সাহায্য করতে রাজি পাকিস্তান, তাইতো ইমরান খানকে মার্কিন সফরে হোয়াইট হাউসের অতিথি করতে দুবার ভাবেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইমরানের সঙ্গে বিদেশ সফরে এসেছেন সেনা প্রধান জেনারেল বাওয়েজা, তাঁর সঙ্গেই নাকি আসল কথা সারবেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।