বেজিং, ৯ ফেব্রুয়ারি: করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বর্তমানে ৩১,০০০ ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৮০৩ জন এই ভাইরাসে মারা গেছেন। দিন দিন এই ভাইরাসের কবলে চলে যাচ্ছেন গড়ে প্রায় শ'খানেক মানুষ। ২০০২-২০০৩ সালে চিনে এই ভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন অন্তত ৭৭৪জন। কিন্তু এবার এই সংখ্যাটা ভয়ানক চেহারা নিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় শ'য়ে শ'য়ে মানুষ মৃত্যু মিছিল বাড়াচ্ছেন। এই মারণ ভাইরাস এতটাই আশঙ্কা ছড়িয়েছে যে এই রোগের চিকিৎসা করতে রোবট ব্যবহার করছেন চিনের চিকিৎসকরা। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের খাবার-ওষুধ পৌঁছে দিতে রোবট ব্যবহার করছেন তাঁরা।
প্রায় ২,১৪৭ জনকে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্তে চিহ্নিত করা হয়েছে। গোটা দেশজুড়ে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬,৬৯০। এক ৬০ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক চিনের উহান শহরে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আরেকজন ৬০ বছর বয়সী জাপান নিবাসী তিনি মারা যান। করোনা ভাইরাস বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। গতকালই চিনে (China) করোনা ভাইরাসের ফলে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭০০। শনিবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৭২২। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবেও বিস্তর ফারাক। টেনসেন্ট বলছে, সংক্রমিত অন্তত দেড় লাখ। তাইওয়ানের এক সংস্থার কথায়, অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও আসল মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে টেনসেন্ট। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে (Airport) তাঁদের থার্মাল টেস্ট করা হচ্ছে। কারোর মধ্যে সংক্রমণের সামান্য আঁচ পেলেও তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। আরও পড়ুন: Coronavirus Update: চিনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু মিছিল, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮০৩
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। মারণ ব্যাধি মোকাবিলায় তৎপরতার সঙ্গে চিনে হাসপাতাল (Hospital) তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী করোনাভাইরাস জুনোটিক অর্থাত্ দেখা যাচ্ছে এই ভাইরাস পশুর (Animal) দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।