ঢাকা, ২৭ নভেম্বর: ইসকনকে (ISKCON) 'নিষিদ্ধ' করা হোক। বাংলাদেশ হাইকোর্টে (Bangladesh) ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশে যখন হিন্দু (Hindus) সম্প্রদায়ের উপর হামলা চলছে, সেই সময় এবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরপরই ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক বলে মামলা দায়ের করা হল। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকেই চট্টগ্রাম এবং রংপুরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘর জ্বালানো হচ্ছে বলে খবর। তারমধ্যেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আদালতে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা আগুনে ঘৃতাহুতি দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইসকনের বর্তমান কর্মকাণ্ডের উপর নজর রেখে বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় আদালতের তরফে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ করেছে,সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চায় আদালত। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে অত্যাচার চলছে,তা এখনই বন্ধ করতে হবে এবং সে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে রক্ষা করতে হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয় হাইকোর্টের তরফে।
সম্প্রতি ইসকনের সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকা বিমানবন্দরে হাজির হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ কোনও ধরনের তথ্য প্রকাশ করেনি প্রথমে। কার্যত লুকিয়েই রাখা হয় ইসকনের এই ধর্মীয়গুরুকে। পরে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে আদালতে তোলা হলে, সেখানে ওই সন্ন্যাসীর দেখা মেলে।