Gaza Ceasefire: অবশেষে থামল গাজার যুদ্ধ। দু বছরের ভয়াবহ একপক্ষ যুদ্ধ শেষ হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায়। একপ্রকার বাধ্য হয়েই ট্রাম্পের শান্তি চুক্তিতে সায় দিল ইজরায়েল-হাামস দু'পক্ষই। কাগজ-কলমে কাজ সারার পর, জানানো হল গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটে থেকে গাজায় কার্যকর হলো যুদ্ধবিরতি। ট্রাম্পের চুক্তি মেনে ইজরায়েলি সেনা গাজার নির্দিষ্ট অংশ থেকে ('হলুদ রেখা' বা সম্মত রেখায়) পিছু হটে। এরপর হামাস সম্পূর্ণ অস্ত্রত্যাগ করবে। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন ২০০ জন সৈন্যের আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করবে। গতকাল, বৃহস্পতিবার ঘোষিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার শান্তি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর, পণবন্দি ও বন্দি বিনিময় এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করল।
বন্দিদের প্রত্যাবর্তন করা হচ্ছে
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে ইজরায়েল ও হামাস উভয়েই রাজি হয়েছে। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF)-এর বিবৃতিতে জানিয়েছে, "দুপুর ১২টা (০৯:০০ GMT) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমাদের সেনারা নবনির্ধারিত মোতায়েন সীমারেখায় হয়েছে এবং বন্দিদের প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।"
দেখুন খবরটি
The ceasefire in Gaza has come into effect and Israeli troops have begun withdrawing from the Palestinian enclave, the Israeli military has announced.
Read more: https://t.co/QFLEgoRce8 pic.twitter.com/i84UnyFH8D
— SBS News (@SBSNews) October 10, 2025
গাজা যুদ্ধের খুঁটিনাটি
গাজা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে হামাসের আক্রমণে ১,২০০ ইজরায়েলি নিহত হযন। এরপর ইজরায়েলের পাল্টা অভিযানে গাজায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত, গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫ হাজার বলে দাবি। তবে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (হামাস-নিয়ন্ত্রিত) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের ৭-৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৬৭,১৭৩ থেকে ৬৭,১৯৪ প্যালেস্টাইনীয় নিহত হয়েছে।
এবার গাজায় কী হবে
এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজারের বেশি(৩০% এরও বেশি)। এছাড়া, ১৬০,০০০-এরও বেশি আহত।এই সংখ্যা শুধুমাত্র হাসপাতালে আনা লাশের উপর ভিত্তি করে; ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা বা পরোক্ষ মৃত্যু (যেমন ক্ষুধা, রোগ) অন্তর্ভুক্ত নয়। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থা এই সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য মনে করে। দু বছর ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে গাজাবাসী। যদিও, চুক্তি কতদিন স্থায়ী হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। সেই দিকেই এখন নজর গোটা বিশ্বের।