প্রতীকী ছবি (Photo Credits: IANS)

ওয়াশিংটন, ৪ সেপ্টেম্বর: মার্কিন মুলুকে তৈরি হয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক (COVID-19 Vaccine)। নভেম্বরের ১ তারিখ থেকেই দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের বিতরণ শুরু করতে চায় ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। সিডিসি-র ডিরেক্টর রবার্ট রেডফিল্ড ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন তৈরি হওয়া নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছেন। গত ২৭ আগস্ট স্টেটগভর্নর ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে চিঠিও দিয়েছেন রবার্ট রেডফিল্ড। সেই চিঠিতে তিনি বলেছেন, ম্যাককেশন কর্পোরেশন ভ্যাকসিনের বিতরণ কেন্দ্র তৈরির করতে চায়। এজন্য অনুমোদন পেতে খুব শিগগির আবেদন করবেন তিনি। তবে বিতরণকেন্দ্র তৈরির অনুমোদন খুব শীঘ্রই মিলে গেলে কাজ শুরু করা সহজ হবে, নাহলে দেরি হয়ে যেতে পারে।

মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিডিসি প্রধান বলেছেন, এসম অনুমোদনের জন্য স্বাভাবিকভাবে যা সময় লাগতে পারে তা এখন কাম্য নয়। কারণ এই মুহূর্তে জনস্বাস্থ্য কর্মসূচিই হল সবথেকে বেশি জরুরি, এখানে বিলম্ব মানে বিরাট বাধা। নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে যাতে ভ্যাকসিনের বিতরণ শুরু করা যায় তারজন্য বিতরণকেন্দ্র তৈরির  অনুমতি দ্রুত পেতে হবে, আর এই কাজে গভর্নরের একান্ত সহযোগিতা কাম্য সিডিসির। এদিকে মহামারী করোনার কবলে জর্জরিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মোট করোনা আক্রান্ত ৬.১২ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে করোনার বলি ১ লাখ ৮৬ হাজার ১০০ জন। যদি ভ্যাকসিন বিতরণকেন্দ্র গড়তেই সময় চলে যায় তাহলে করোনার সংক্রমণ আরও গতি পাবে। মার্কিন মুলুকে বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ প্রতিষেধক মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে, AZD1222। অক্সোফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ভ্যাকসিটেক কোম্পানি যৌথভাবে এই প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে। মার্কিন মুলুকের National Institute of Allergy and Infectious Diseases ও মার্কিন বায়োডেকনোলজি সংস্থা মোডের্না-র তৈরি করা প্রতিষেধকটি হল mRNA-1273। এছাড়াও যৌথভাবে এই BNT162b2 প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে মার্কিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি Pfizer ও জার্মানির কোম্পানি BioNTech। আরও পড়ুন-Sonu Sood On Kangana Ranaut’s Post: মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা কঙ্গনার, জবাব দিলেন সোনু সুদ

এই প্রসঙ্গে সিডিসির মুখপাত্র বলেছেন, “এই সময় আমরা জানি না যে কোনও প্রতিষেধকটি অনুমোদন পাবে। নভেম্বরে আগামী নভেম্বরের শুরুর দিকেই কিছু করোনাভাইরাস প্রতিষেধক হয়তো পাওয়া যাবে। এবং ২০২১-এর শুরুতে প্রতিষেধকের সরবরাহ উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়বে আশা করা যায়।”