British Prime Minister Boris Johnson (Photo Credits: Facebook)

লন্ডন, ২১ ফেব্রুয়ারি: গতকালই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এখনও ব্রিটেন জুড়ে করোনার দাপট মোটেও কমেনি। কিন্তু এর মাঝে সমস্ত রকম করোনা নিয়ন্ত্রণ বিধি তুলে নেওয়ার ঘোষণা করতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। এবার থেকে রানীর দেশে কোভিড বিধি ভাঙলে আর কোনওরকম আইনত শাস্তির মধ্যে পড়তে হবে কাউকে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কোনওরকম আইন ছাড়া কি সেখানকার সাধারণ মানুষ কোনও কোভিড বিধি মানবে? তার মানে সাধারণ মানুষের ওপর সবটা ছেড়ে, ফের করোনা ঢেউ আনার ঝুঁকি থাকছে।

নাইট ক্লাব, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিশেষ পার্টি তে প্রবেশের জন্য আর বাধ্যতামূলক কোভিড সংক্রান্ত বিধিও লাগবে না। এর আগেই ইংল্যান্ডে প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় বলেও বরিস জনসন জানিয়েছিলেন। করোনার আশঙ্কায় বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শও আর দিচ্ছে না ব্রিটেন সরকার। আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত রানী 

বরিস জনসন প্রশাসনের বক্তব্য হল, করোনা এখনও চলে যায়নি ঠিকই তবে মানুষকে এবার কোভিডের মধ্যেই নিজেদের সচেতন থেকে স্বাভাবিক জীবন চালাতে হবে। টিকার পর অনেকের বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়ে যাওয়ায় কোভিডের ঝুঁকিও দেশে অনেকটা কমেছে বলে দাবি ব্রিটেনের প্রশাসনের। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনে ৮০ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। করোনার কারণে গোটা ব্রিটেনে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ইউরোপে যা রাশিয়ার ঠিক পরেই।

দেখুন টুইট

তবে ব্রিটেনের অনেকেই বরিস জনসনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর প্রতিবাদ করেছেন। কোভিড বিধি ভাঙলে আইনত শাস্তি দেওয়া না গেলে কিছু মানুষের বেলাগাম জীবনযাপনের ফল গোটা দেশকে ভুগতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।