
New UK Immigration Rules: ব্রিটেনের অভিবাসন নীতিতে একগুচ্ছ পরিবর্তন এনেছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার (Keir Starmer)। আজ সোমবার ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া ভাষণে লেবার পার্টির নেতা জানান, কনজারভেটিভ সরকারের ওপেন বর্ডার এক্সপেরিমেন্ট-এর অবসান ঘটানো হবে এবং ব্রিটেনের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দেন, অভিবাসনে তিনি নিয়ন্ত্রণ আনবেন এবং তা কমাবেন। আর সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্যেই ব্রিটেনের অভিবাসন নীতিতে একগুচ্ছ পরিবর্তনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের।
ব্রিটেনের নয়া অভিবাসন নীতিঃ
ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হলে এখন থেকে অভিবাসীদের কমপক্ষে ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমান নীতিতে সেই মেয়াদ ছিল ৫ বছর। তা আরও ৫ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হল।
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার মানদণ্ডও আরও কঠোর করা হবে। অর্থাৎ ব্রিটেনে বসবাস করতে চাইলে অভিবাসীদের ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক জ্ঞানের প্রমাণ দিতে হবে।
স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করার জন্যে যারা ব্রিটেনে আসেন তাঁদের ক্ষেত্রেও কিছু বদল ঘটেছে। স্নাতকদের এখন পড়াশোনা শেষ করার পর ১৮ মাস ব্রিটেনে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। বর্তমান নিয়মে তা ছিল দুই বছর।
অভিবাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ, যেমন কাজ, পরিবার ও পড়াশোনার মানদণ্ড আরও কঠোর করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।
ব্রিটেনের নয়া অভিবাসন নীতি ভঙ্গ করলে অভিবাসী বা শিক্ষার্থীদের আর্থিক জরিমানা বা শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
অভিবাসীর সংখ্যায় হ্রাস টানতে চান কিয়েরঃ
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ব্রিটেনের বাড়তে থাকা অভিবাসীর সংখ্যায় হ্রাস টানতেই অভিবাসন নীতিতে বদল আনছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ব্রিটেনে অভিবাসনের (নেট ইমিগ্রেশন) সংখ্যা ছিল ২,২৪,০০০। ২০২৩ সালের জুনে সেই সংখ্যা ৯০৬,০০০-তে পৌঁছে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন এও জানান, গত বছর জুলাইতে ব্রিটেনে সরকার গড়ার পর থেকে ২৪,০০০ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যা গত আট বছরে সর্বোচ্চ।