বব ওয়েটন (Photo Credits: Video screen grab)

লন্ডন, ২৯ মে: বিশ্বজুড়ে চলছে মহামারী করোনাভাইরাসের দাপট। আক্রান্তের সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু মিছিল তিল লক্ষেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে ক্যানসারের কামড়ে চলে গেলেন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ বব ওয়েটন (Bob Weighton)। ব্রিটেনের নিউহ্যাম্পশায়ার কাউন্টির অলটন শহরের বাসিন্দা ১১২ বছরের বব ওয়েটন পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। সমগ্র ইউরোপ জুড়ে করোনার ভয়াবহত বাড়লে তিনি বেশ আতঙ্কিত হয়েছিলেন। তাঁর মতে গোটা বিশ্ব এখন কত উন্নত, সেখানে এই মারণ রোগ নিমেষে মানুষকে সংক্রামিত করছে। কোনও ওষুধ নেই কী করলে এই রোগ থেকে রেহাই পাব জানি না। পৃথিবীর এমন ঘোলাটে চেহারা তিনি আগে দেখেননি।

১৯১৮ সালে যখন স্প্যানিশ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে ৫ কোটি মানুষ মারা গেল তখন বব ওয়েটন ১০ বছরের কিশোর। না এই মহামারী নিয়ে তাঁর কোনওরকম স্মৃতি নেই। কেননা বব ওয়েটনের পরিবারের কেউ স্প্যানিশ ফ্লুতে আক্রান্ত হননি। মারা যাওয়া তো দূরের কথা। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপে তিনি সত্যিই আতঙ্কিত ছিলেন। এদিকে বুঝতেও পারেননি যে কর্কট রোগ তাঁকে ভিতরে ভিতরে খেয়ে ফেলেছে। কয়েকদিন আগেও ভাইরাস নিয়ে বড়ই চিন্তিত ছিলেন। সেই মানুষটিকেই এবার কেড়ে নিল ক্যানসার। ১১২ বছর বয়সে চলে গেলেন বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি বব ওয়েটন। আরও পড়ুন- Donald Trump: ‘চিনের সঙ্গে চলমান সীমান্ত সমস্যার জন্য নরেন্দ্র মোদির মন ভাল নেই’ বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

জাপানের চিতেতসু ওয়াতানাব ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ। তাঁর মৃত্যুর পর  গত ফেব্রুয়ারিতেই ১১২ বছর ১ দিন পূর্ণ করে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে গিনেসবুকে নাম তোলেন বব ওয়েটন। এতদিন বাঁচার জন্য তাঁর কাছে কোনও ফর্মুলা নেই। তবে মৃত্যুর কথা তিনি ভাবতেন না। উইমন্ড মিলের মডেল তৈরি করা থেকে শুরু করে বইপড়া এসব নিয়ে মেতে থাকতেন বব ওয়েটন। তাঁর তিন সন্তান। নাতি নাতনি ১০ জন আর প্রপৌত্র প্রপৌত্রী ২৫ জন। বিশ্বের নানা পালবদলের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। চোখের সামনে দেখেছেন কত ভয়াবহ ঘটনা। ব্রিটেনের ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর আসাযাওয়া তাঁর নখদর্পণে। ইংল্যান্ডের রাজ সিংহাসনে ৫ জনের অভিষেক দেখার সৌভাগ্য হয়েছে এই মানুষটির। তবে করোনা জয় করে সুস্থ পৃথিবী আর দেখতে পেলেন না।