মেলবোর্ন, ২০মে: কথায় বলে নির্বাচন (Election) অর্থই শেষ কথা বলে। যে যত খরচ করে নিজেদের ঢাকঢোল পেটাতে পারবে তারাই নির্বাচনে বাজিমাত করে। আমেরিকা থেকে ভারত। প্রায় সর্বত্রই নাকি খাটে এই কথা। 'মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেকশন'(US Presidential Election) -ই হোক বা ভারতের লোকসভা নির্বাচন (Indian General Elections)-ভোট মানেই ডলার-টাকা ওড়ানোর এমন একটা মঞ্চ, যেখানে অর্থ ছড়ালেই দেশ শাসনের সুযোগ মেলে। সেই কথা মেনে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে (2019 Australian federal election)-এ নিজের দলের বিজ্ঞাপনে ৬০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৮৯ কোটি টাকা খরচ করেন এক ধনকুবের রাজনীতিবিদ। সেই ধনকুবের কয়েকশো কোটি টাকার মালিক রাজনীতিবিদের নাম ক্লাইভ পালমার (Clive Palmer)। ক্লিভের মাইনিং সহ নানা ব্যবসা আছে। ৬৫ বছরের ক্লিভের মোট সম্পত্তি ১.৮ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
Vote @UnitedAusParty #auspol pic.twitter.com/xRRUv7YcNu
— Clive Palmer (@CliveFPalmer) 2019(e)ko maiatzaren 17(a)
ক্লাইভ তাঁর দলের বিজ্ঞাপনের পিছনে একাই ঢালেন ভারতীয় মুদ্রায় ২৮৯ কোটি টাকা। ক্লাইভের পার্টির নাম-'ইউনাইটেড অস্ট্রেলিয়া'। কিছুটা ভারতের আম আদমি পার্টি-র মত ঝড় তুলে তারা এবার ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে ভোটে বাজিমাত করতে চেয়েছিল। বিল বোর্ড থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, রেডিও-টিভি সবতেই টাকা ঢেলে নিজের দলের প্রচার সারেন এই ধনকুবের। তাঁর স্লোগান ছিল, 'মেক অস্ট্রেলিয়া গ্রেট'। কিন্তু এত টাকার খরচ করে শেষ অবধি দেশজুড়ে প্রার্থী দিয়েও একটা আসনও জিততে পারলেন না ক্লাইভ পালমার।
"Clive spent $80 million and got a donut, a big fat zero, and that's one of the best things to come out of this election tonight because you shouldn't be able to buy your way to power" - @Cuhlmann on @Clivefpalmer. #9News #ausvotes pic.twitter.com/8H6ipT9lnZ
— Nine News Australia (@9NewsAUS) 2019(e)ko maiatzaren 18(a)
ক্লাইভ নিজে দাঁড়িয়েছিলেন কুইন্সল্যান্ডের এক কেন্দ্র থেকে। সেখানে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেখানেও তিনি হেরে যান। পুরো টাকাটাই কার্যত জলে গেল তাঁর। তবে ক্লাইভ সেটা মানতে রাজি চান না। তিনি বলছেন, ''আমরা আসন না পেলেও অনেক ভোট পেয়েছি। দেশে কোয়ালিয়েশনের জয়ের পিছনে আমাদের ভূমিকা আছে। আমরা দেশকে অতিরিক্ত ট্যাক্স থেকে বাঁচিয়েছি।''গত বছর সিডনি ও ব্রিসবেন থেকে ক্লাইভের হাইপ্রোফাইল নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়েছিল।
ক্লাইভ জিতলে দেশের কতটা উন্নয়ন হত জানা নেই। কিন্তু তাঁর হারে একটা জিনিস প্রমাণ হল, শুধু অর্থ খরচ করলেই নির্বাচনে জেতা যায় না। এত টাকা খরচের পরও বড় হারের পর ক্লাইভকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার ৪৬তম জাতীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল ও ন্যাশনাল পার্টির জোট।