ঢাকা, ১০ অগাস্টঃ দেশজুড়ে গণআন্দোলনের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে বাংলাদেশ জুড়ে ছাত্র আন্দোলন ক্রমেই গণবিক্ষোভের চেহারা নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে দেশ ছাড়া করে তাঁর বাসভবন 'গণভবন' দখল করেছে জনতা। প্রধানমন্ত্রী পর এবার বাংলাদেশের আন্দোলনকারী ছাত্ররা সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবি তুলেছে। প্রধান বিচারপতি সহ শীর্ষ আদালতের সকল বিচারপতির পদত্যাগ দাবি জানিয়ে নতুন করে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে ওপার বাংলায়। উন্মত্ত আন্দোলনকারীদের চাপে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার রাতেই পদত্যাগ করবেন তিনি।
অবিলম্বে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হাইকোর্ট ঘেরাও করেছে শত শত আন্দোলনকারী। যার মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। বেলা পৌনে ১২টা থেকে আদালত চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেন ছাত্ররা। বিক্ষভকারীদের দাবি, 'ফ্যাসিস্ট' হাসিনা কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান (Bangladesh Chief Justice Obaidul Hassan) সহ আপিল বিভাগের ৭ জন বিচারপতির বিনা শর্তে পদত্যাগ। এমনকি পদত্যাগের জন্যে প্রধান বিচারপতিকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় তাঁর বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি এও জানান, ফ্যাসিবাদী বিচারব্যবস্থাকে আজ সমূলে উৎখাত করবে বাংলাদেশ।
শনিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয়। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলাকোর্ট, জজকোর্ট ও বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলেও জানানো হয়। বিক্ষোভের আঁচ ক্রমেই বাড়তে থাকে। জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আদালত চত্বর ছেড়ে পালিয়ে যান প্রধান বিচারপতি (Obaidul Hassan)।
নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের অধীনে নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই প্রধান বিচারপতি ফুলকোর্ট বৈঠক ডেকেছিলেন। যা নতুন করে বাংলাদেশে বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই ফুল কোর্ট বৈঠক। কিন্তু বিক্ষোভের জেরে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা স্থগিত হয়।