Holey Artisan cafe attack: বাংলাদেশের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফাইল ফোটো (Photo: ANI)

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর: ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে (Holey Artisan cafe) জঙ্গি হামলা ও নৃশংস হত্যার ঘটনায় ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল বাংলাদেশের (Bangladesh) সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল (anti-terrorism court )। ১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। বিচার শুরুর এক বছরের মাথায় বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ফাঁসির সাজা পাওয়া ৭ আসামি হল রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গির আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাস, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। আর বেকসুর খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। হামলায় ২২ জনের মৃত্য়ু হয়। গুলশান (Gulshan)-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় লেকের তীরে হলি আর্টিজান বেকারির সবুজ লন ছিল বিদেশিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিদেশিদের নিয়মিত আনাগোনা এবং শিথিল নিরাপত্তার কারণেই ওই রেস্তরাঁকে জঙ্গিরা হামলার জন্য বেছে নিয়েছিল বলে তদন্তকারীদের ধারণা। ইদের মাত্র এক সপ্তাহ আগে যেদিন ওই হামলা হয়, সেদিন ছিল শুক্রবার। পিস্তল, সাব মেশিনগান আর ধারালো অস্ত্র হাতে পাঁচ যুবক রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই ক্যাফেতে ঢুকে শুরু করে নৃশংসতা। কুপিয়ে ও গুলি করে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে তারা। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। অভিযানের সময় ও পরে হাসপাতালে মারা যায় হলি আর্টিজান বেকারির দুই কর্মচারী। আরও পড়ুন: Holey Artisan cafe attack: বাংলাদেশের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই হামলার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনামে চলে আসে। তখনও অনেকে হলি আর্টিজানের ভেতরে কার্যত বন্দি হয়ে ছিলেন। ভোরে সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা অভিযান ‘থান্ডারবোল্ট’ (Operation Thunderbolt) নামে। অভিযানে ৫ যুবক নিহত হয়। ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ১৩ জনকে। এরপর দু'বছরে হামলায় জড়িত আরও অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হন। গুলশান হামলার তদন্তে মোট ২১ জনকে চিহ্নিত করা হলেও তাদের মধ্যে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার আটজনকেই কেবল বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়। তাদের মধ্যে আজ সাত জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। একজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছ।

ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একের পর এক অভিযান চালিয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়, ভেঙে দিয়েছে জঙ্গিদের অনেক আস্তানা। এসব অভিযানে নিহত হয়েছেন হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ জড়িত গুরুত্বপূর্ণ আট জঙ্গি।