নয়াদিল্লিঃ ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ফের অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। রবিবার সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি পালন করতে নেমেছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামেন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। আহত বহু। আহতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ (Police) অফিসারেরাও। জানা গিয়েছে, রবিবার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জন পুলিশ। লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, কিশোরগঞ্জে ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ঢাকায় ১১ জন, বগুড়ায় ৫ জন, ভোলায় ১ জন, রংপুরে ৪ জন,পাবনায় ৩ জন,শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ২ জন, সিলেটে ৫ জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, কক্সবাজারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দেশজুড়ে জারি হয়েছে কার্ফু। এ ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার থেকে বাংলাদেশে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার। অন্যদিকে বাংলাদেশে নতুন করে হিংসা ছড়ানোয় ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করছে দিল্লি। সোমবার থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার কার্ফু ভেঙে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছে যাওয়ার আহবান জানানো হয়েছে দেশবাসীকে।
Nearly 100 people were killed, and hundreds others have been injured as renewed anti-government violent #protests swept across #Bangladesh https://t.co/iNESQDWqWY
— Hindustan Times (@htTweets) August 5, 2024