ক্যানবেরা, ১৮ নভেম্বর: কেপ ইয়র্ক উপদ্বীপের কাছে বিলি’জ ল্যান্ডিংয়ের ধারে বসে মাছ (Fish) ধরার ঝোঁক জেন পেয়ে বসেছিল ক্রেগ ডিকম্যানকে। কিন্তু অনেকেই সাবধান করেছিলেন জায়গাটা ভালো নয়, ওই জায়গায় রয়েছে প্রচুর কুমির (Crocodile)! তবু জেদ চেপে বসেছিল ওই জায়গাতেই মাছ ধরবেন তিনি। তাই তোরজোড় করে চার বানিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিলি’জ ল্যান্ডিংয়ের ধারে মাছ ধরতে। আয়েস করে মাছ ধরে ঠিক যখন তল্পিতল্পা গুছিয়ে পাড়ে উঠতে যাবেন, সেই সময় সামনে উপস্থিত ন’ফুটের এক মস্ত কুমির।
মুখ বাগিয়ে ক্রেগের পায়ে এক মোক্ষম কামড় (Bite) বসায় সে। তারপর! যা ভাবছেন তেমনটা ঘটেনি। ভয় না পেয়ে প্রাণ বাঁচাতে কুমিরের চোখেই (Eye) আঙুল ঢুকিয়ে দেন তিনি। আর এই টোটকাতেই আসে রাহুমুক্তি। প্রাণে বেঁচে ফিরে আসেন ক্রেগ। আপাতত পা ও হাতে আঘাত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। হাসপাতালের (Hospital) বিছানায় শুয়েই সাংবাদিকদের (Press) জানালেন তাঁর সাহসী অভিজ্ঞতার কথা। বললেন, ‘জল থেকে লাফিয়ে উঠে আমার ঊরুতে কামড় বসাল কুমিরটা। ওর দুই চোয়ালের শব্দ বোধহয় আমাকে আজীবন তাড়া করে বেড়াবে।’ তিনি আরও জানান, ওই প্রাণীর দেহের বাকি অংশ প্রায় বুলেট-প্রুফ। স্রেফ চোখটাই নরম অংশ। ওদের চোখের অনেকটা ভিতর পর্যন্ত আঙুল ঢোকানো যায়। বেশ কিছুটা ঢোকালে তবে হাড় ঠেকে। আমি তাই যতটা সম্ভব হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। আরও পড়ুন: Friends Gifted Onion For Wedding: বন্ধুর বিয়েতে নববধূকে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ উপহার দিল বন্ধুরা
৫৪ বছরের ক্রেগ পেশায় একজন ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার (Wildlife Ranger)। তিনি আরও জানান, কুমিরের কবল থেকে বেঁচে ফিরলেও তাঁর হাত ও পায়ের চামড়া ঝুলছিল। গলগল করে রক্ত পড়ছিল। এমন পরিস্থিতিতেই ৪৫ মিনিট গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।