Apple Store Looted. (Photo Credits: X)

Apple Store Looted:  ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অভিবাসন নীতির প্রতিবাদ এখন দাঙ্গার আগুনে জ্বলছে। তার বিরুদ্ধে চলা লস অ্য়াঞ্জেলস (LA Protest) তুমুল প্রতিবাদ থামাতে ন্যাশানল গার্ড ( (National Guard)) বা সেনা নামানোর ট্রাম্পের সিদ্ধান্তটা আগুনে ঘি ঢালার মত হয়ে গিয়েছে। ট্রাম্পের অভিবাসন দফতর (ICE)-এর নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানকার সাধারণ মানুষদের ওপর অত্য়াচার ও অসভ্যতা করছেন, এমন ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিবাদ (California Riot), পুরোপুরি দাঙ্গার আকার নিয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ গাড়ি থেকে ঘরবাড়ি, দোকান। ট্রাম্পের পাঠানো সেনাও ছুড়ছে গুলি, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্য়াস। প্রতিবাদকারীদের অনেকেই ঘায়েল হয়েছেন গুলি, রাবার বুলেটে। ততই ছড়াচ্ছে হিংসা, অরাজকতা। লস অ্যাঞ্জেলস, ক্য়ালিফোর্নিয়া থেকে যেসব ভিডিয়ো আসছে, তা দেখে মনে হচ্ছে ট্রাম্পের দেশে গৃহযুদ্ধ চলছে। প্রতিবাদকারীদের সাফ বক্তব্য ICE ও ন্যাশনল গার্ডদের না সরানো হলে তাদের আন্দোলন চলবে।

লুঠ হওয়া অ্যাপেল স্টোরের কাঁচে লেখা ছিল, ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান

পুলিশ-সেনা, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রীতিমত যুদ্ধ চলছে। এরই মাঝে লস অ্য়াঞ্জলসের কেন্দ্রস্থলের অত্যন্ত সুসজ্জিত এক অ্য়াপেল স্টোর লুঠ হয়ে গেল। প্রতিবাদের নাম করে অনেকে জড়ো হয়ে জোর করে অ্যাপেল স্টোরে ঢুকে পড়লেন। পুলিশ যতক্ষণে সেখানে এল, ততক্ষণে সব আই ফোন চুরি হয়ে গিয়েছে। এই অ্য়াপেল স্টোর থেকেই আই ফোন, আই প্য়াড বা অ্য়াপেলের বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিনে থাকেন হলিউডের তাবড় তাবড় সেলেব্রিটিরা। সেই স্টোরই লুঠ হয়ে গেল।

দেখুন অ্যাপেল স্টোর লুঠের ভিডিও

দেশজুড়ে ছড়াচ্ছে আন্দোলন

এদিকে, ট্রাম্প বিরোধী বড় আকারের আন্দোলন এখন আর লস অ্য়াঞ্জেলস কিংবা ক্য়ালিফোর্নিয়ায় আটকে নেই। তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্প লস অ্য়াঞ্জেলসে আরও সেনাকর্মী বা ন্যাশনাল গার্ডদের পাঠিয়ে সেখানকার প্রতিবাদবাদীদের সাস্তি দিতে চান। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হচ্ছে। ক্য়ালিফোর্নিয়ার গর্ভনর গাভিন নিউসোমনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাদা ছোড়াছুড়ি একেবারে কদর্য জায়গায় চলে গিয়েছে। ডেমোক্রাট দলের নেতা তথা বর্ভনর গাভিনের বক্তব্য, ট্রাম্পের জন্যই তার এখানে এত বড় হিংসা চলছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প বলছেন, হিংসায় প্রকাশ্য়ে মদত দেওয়া গাভিনকে গ্রেফতার করা হবে। সব মিলিয়ে নিজের দেশেই বেশ চাপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।