
ইসলামাবাদ, ১০ অক্টোবর: ফের পাকস্তানে (Pakistan) এক হিন্দু মেয়েকে (Hindu girl) অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে সিন্ধ প্রদেশে (Sindh)। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটিকে জোর করে ইসলামে (Islam) ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। মাস খানেক আগে সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি শহরের বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া নম্রিতা চন্দনির (Namrita Chandani) দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। তাঁর গলায় কাপড়ের ঢুকরো বাঁধা ছিল। ঘরটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল। পুলিশের দাবি, নম্রিতা আত্মহত্যা করেন। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি এটা খুন। একই দাবি করেন মৃতের দাদা বিশাল। নম্রিতার হত্যার পরই এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ যে এটা জোর করে ধর্মান্তরের ঘটনা কি না।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে ধর্মীয় নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে জোর করে ধর্মান্তরের বেশ কয়েকটি ঘটনাও। সিন্ধি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতি বছর ১২-২৮ বছর বয়সী প্রায় এক হাজার হিন্দু মেয়েকে সিন্ধু প্রদেশে অপহরণ করা হয়, জোর করে বিয়ে করা হয় এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বরেও এক হিন্দু মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয় সিন্ধ প্রদেশে। দোষীদের গ্রেফতার ও বিচার চেয়ে প্রতিবাদে নামেন নিগৃহীতার পরিবার। অভিযোগ, সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা ওই যুবতিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় একদল মুসলিম। এর পর তাঁকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়।
সম্প্রতি পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তর করার অভিযোগে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইমরান খান সরকার। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের হিসেবে, ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত সিন্ধ প্রদেশের মোট ৭,৪৩০ জন মহিলাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তবে অনেকের মতে, বাস্তবে সংখ্যাটি আরও বেশি।