পড়াশোনার জন্যে লন্ডনে (London) গিয়েছিলেন আহমেদাবাদ (Ahmedabad ) নিবাসী কুশ প্যাটেল। লন্ডনের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স করছিলেন তিনি। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিগত ন'মাস ধরে লন্ডনে থাকছিলেন তিনি। হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল পড়ুয়ার আচমকা মৃত্যুতে অবাক পরিবার, পরিজন এবং বন্ধুবান্ধব। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা (Suicide) করেছেন কুশ। মৃত্যুর আগে ১০ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ভারতীয় পড়ুয়া। মৃত পড়ুয়ার খোঁজে বাধ্য হয়ে পুলিশের দারস্ত হয়েছিলেন তাঁরই এক বন্ধু। তল্লাশি অভিযানে কুশের মোবাইল ফোন ট্রেস করে পুলিশ। লন্ডন ব্রিজের (London Bridge) কাছে হদিশ মেলে মোবাইল ফোন সহ মৃত কুশের।
জানা যাচ্ছে, ছাত্র লোন নিয়ে বিদেশে পড়তে এসেছিলেন আহমেদাবাদের কুশ। বেশ কিছুদিন যাবত আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন মৃত পড়ুয়া। কলেজের ফি জমা করতে কালঘাম ছুটছিল তাঁর। এই সমস্ত কিছু নিয়ে অবসাদে চলে গিয়েছিলেন। তার জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন কুশ, অনুমান পুলিশের।
লন্ডনের যে বন্ধু কুশের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারেন, পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখতেন কুশ। শেষবার যেদিন ফোনে বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়েছিল, কুশ জানিয়েছিল সে ভারতে ফিরে যাচ্ছে। ২০ অগাস্ট তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১০ অগাস্ট শেষ কথা হওয়ার পর থেকে আচমকাই সমস্তরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কুশ। বহুবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। এরপরেই বন্ধুর খোঁজে তিনি পুলিশের দারস্ত হয়েছিলেম। ভারতীয় ছাত্র মৃত্যুর কারণ তদন্ত করছে লন্ডন পুলিশ।