
দিল্লি, ২৯ মে: ব্রক্ষ্মোস (BrahMos) দিয়ে হামলা চালিয়েছে ভারত (India)। পাক সেনা (Pakistani Army) কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারতের ব্রক্ষ্মোস আছড়ে পড়ে। ফলে রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর-সহ একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে চলে হামলা। পাক সেনা কিছু বোঝার আগেই ভারতের ব্রক্ষ্মোস আছড়ে পড়ে। এবার স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ় শরিফ (Shehbaz Sharif)।
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে ইসলামাবাদের (Islamabad) পাশে যেকটি দেশ দাঁড়িয়েছে, তার একটি আজারবাইজ়ান। আপাতত আজারবাইজ়ানেই রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, অপারেশন সিঁদূরের পর ১০ মে পাক সেনাপ্রধান অসীম মুনির ভারতে হামলার পরিকল্পনা করেন। ১০ মে সকালের প্রার্থনার পর ভারতে হামলা চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পাকিস্তান কিছু করে ওঠার আগেই ভারতের ব্রক্ষ্মোস মিসাইল আছড়ে পড়ে তাঁদের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিতে। রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরেও ব্রক্ষ্মোস আছড়ে পড়ে। যা পাক সেনা কোনওভাবে কল্পনা করতে পারেনি। ফলে পাকিস্তান কিছু করার আগেই ভারতের ব্রক্ষ্মোস আছড়ে পড়তে শুরু করে বলে এবার স্বীকার করলেন শেহবাজ় শরিফ।
শেহবাজ় আরও জানান, পাক সেনাপ্রধান অসীম মুনিরই সাত সকালে তাঁকে জানান, ব্রক্ষ্মোস নিয়ে ভারতের হামলার কথা। প্রসঙ্গত অপারেশন সিদূঁরে পাকিস্তানের দশা বেহলা হলেও, সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের উন্নতি হয়েছে। তাঁকে পাক সেনা প্রধানের পদ থেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করে শেহবাজ় শরিফের সরকার।
আজারবাইজ়ানের লাচিনে বসে শেহবাজ় স্বীকার করে নেন, ৯ এবং ১০ মে ফজরের নামাজ়ের পর ভারতকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী পাক সেনা বাহিনীও ভোর সাড়ে চারটের মধ্যে তৈরি হয়। তবে তার এক ঘণ্টা আগেই পাকিস্তানের একাধিক প্রদেশে ভারতের ব্রক্ষ্মোস আছড়ে পড়তে শুরু করে। ভারতের ওই হামলা রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরেও চলে বলে জানান শেহবাজ়।
ভারতের ব্রক্ষ্মোস আছড়ে পড়ে নুর খান, রাফিকি, মুরিদ, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, চুনিয়নে। সেনা ছাউনির পাশাপাশি বায়ু সেনা ঘাঁটিতেও আছড়ে পড়ে ব্রক্ষ্মোস। শেহবাজ়ের কথায়, স্কারদু, বোলারি, জাকোবাবাদ, সরগোডাতেও চলে হামলা। যার জেরে পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলি অত্যাধিক ক্ষতির মুখে পড়ে বলে স্বীকার করেন শেহবাজ় শরিফ।