বাগরাম বিমানঘাঁটিকে নিজেদের ব্যবহারের জন্য আফগানিস্তানের (Afghanistan) থেকে নিতে চাইছে আমেরিকা। সেই নিয়ে মাঝেমধ্যেই ট্রাম্পের গলায় ইচ্ছাপ্রকাশের সুর শোনা যাচ্ছে। কিন্তু সেদেশের তালিবান সরকার কোনওভাবেই বাগরামকে মার্কিন সেনার হাতে তুলে দিতে চায় না। বছর চারেক আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে সরকার গঠন করেছিল তালিবান। ফলে তাঁরা যে মার্কিন শক্তির কাছে আর মাথা নত করবে তা কিন্তু আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এবার বাগরাম নিয়ে আগেই তাঁরা তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিল। আর এই ইস্যুতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তানের মতো দেশগুলি।
কড়া হুঁশিয়ারি আফগান বিদেশমন্ত্রীর
এবার ভারত সফরে এসেও আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও এই ইস্যু নিয়ে কড়া ভাষায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নয়াদিল্লি থেকে মু্ত্তাকি বলেন, “আফগানিস্তানের জনগণ কখনই বিদেশী শক্তির সামনে মাথা নত করতে চায়নি। তাঁরা এই সামরিক বাহিনীকে আর গ্রহণ করবে না। যদি কেউ আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়, তাহলে সেটা একমাত্র কূটনৈতিক মাধ্যমেই হওয়া সম্ভব। আফগানিস্তানে বিদেশী সামরিক পোশাকে মানুষদের প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ। আমাদের কাছে তাঁরা এখন গ্রহণযোগ্য নয়”।
বাগরামের ওপর কেন ট্রাম্পের নজর?
আসলে ভৌগলিক দিক থেকে বাগরাম ঘাঁটি আমেরিকার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিমানঘাঁটি থেকে চীন, রাশিয়া, ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর নজরদারি রাখা অনেকটাই সুবিধা হবে মার্কিন সেনার পক্ষে। একই সঙ্গে বাইডেনের আমলে যে আফনিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতে বাধ্য হয়েছিল, সেখানে আবার তাঁদের ক্ষমতাবৃদ্ধি করতে চাইছে ট্রাম্প। সেই কারণে এবার তাঁর নজর রয়েছে আফগানিস্তানের এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির ওপর।