Representational Image

মাসখানেক আগেই উত্তপ্ত হয়েছিল পাক-আফগান সীমান্ত (Pakistan-Afghanistan Conflict)। দুপক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। বর্তমানে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বজায় রয়েছে সীমান্ত এলাকায়। তবে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে অভিযোগ তুলছে। পাক সরকারের দাবি, তাঁদের দেশের অভ্যন্তরে যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য আফগান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন টিটিপি অর্থাৎ তেহেরিক-ই-তালেবান জড়িত। অন্যদিকে, আইসিস-কে জঙ্গি সংগঠনকে পাকিস্তান লালিত-পালিত করছে বলে পাল্টা অভিযোগ তালেবান সরকারের। যদিও দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করেছে। তবে এবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ নিয়ে মাঠে নামল আফগান সরকার।

পেশোয়ারে নিহত ২ আইসিস জঙ্গি

সম্প্রতি আফগান সামরিক বিশ্লেষকরা দাবি করছে, সাম্প্রতিককালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা প্রমাণ দিচ্ছে যে ইসলামিক স্টেট- খোরাসান অর্থাৎ আইসিস-কে সংগঠনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে। বালুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় বেশ কয়েকটি ট্রেনি্ং ক্যাম্পের হদিশও পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘নুসরাত’ ওরফে ‘পাহলওয়ান মুসা’ ও ‘আবু জার’, যাঁরা আইএসআইএস-কের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানের পেশোয়ারে নিহত হয়েছে। এই নুসরাত আইসিস ট্রেনিং ক্যাম্প পাহলওয়ান সেন্টারের নেতৃত্বে ছিল।

কাবুল থেকে আটক আইসিস জঙ্গি

এই নুসরাত কাবুলে ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একাধিক হামলা চালিয়েছিল। আর তাঁর সহকারী ছিল আবু জার। সম্প্রতি আফগান নিরাপত্তা বাহিনী কাবুল থেকে আইসিস-কে জঙ্গি সইদুল্লাহকে গ্রেফতার করে। সে জানায়, আফগানিস্তানে একাধিক হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি সংগঠনের। তাঁকে নকল পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল। সেটা দেখিয়ে তোরখাম সীমান্ত হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিল সইদুল্লাহ। কোয়েটার পাহাড় ছিল তাঁর গন্তব্যস্থল।