ক্যালিফোর্নিয়া, ২৯ জুলাই: কণ্ঠ হারাল মিনি মাউস (Minnie Mouse)। মিনিকে ছাড়াই এবার মিকি মাউসকে চলতে হবে। তিন দশক ধরে রুপোলী পর্দা মাতিয়ে রাখা মিনি মাউস আজ থেকে শুধুই রেকর্ডেড ভয়েস। চলে গেলেন মিনি মাউসের কণ্ঠ রুসি টেলর (Russi Taylor)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। ডিজনির তরফেই রুসি টেলরের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেলে থাকতেন রুসি। গত শুক্রবার নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে মৃত্যুর কারণ জানাননি ডিজনি কর্তৃপক্ষ। আরও পড়ুন-ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, আজই আনুষ্ঠানিক পালাবদল
ডিজনির তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ‘‘তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিনি আর রুসি একসঙ্গে কাজ করেছেন। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনোদন জুগিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, রুসির কাজ ভবিষ্যতেও মানুষকে বিনোদন জোগাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রেরণা হয়ে থাকবেন তিনি।’’ ১৯৪৪ সালের ৪ মে ম্যাসাচুসেটসে জন্মেছিলেন রুসি। ১৯৮৬ সালে ডিজ়নির একটি অডিশনে প্রায় ২০০ জনের মধ্যে তাঁকে বেছে নেওয়া হয় মিনির হয়ে কথা বলার জন্য। তার পর থেকে এত দিন মিকি-মিনির ভক্তেরা তাঁর গলাই শুনে এসেছেন। একবার এক সাক্ষাৎকারে রুসি নিজেই জানিয়েছিলেন ওয়াল্ট ডিজনির সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয়ের কথা। তাঁর মিনি মাউস হয়ে ওঠার গল্প। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়েই বাস্তব আর পর্দার মিকি মাউসের সঙ্গে দেখা হয় মিনির। ওয়েন অলউইন ১৯৭৭ সাল থেকে মিকি মাউসের জন্য কণ্ঠ দিয়ে এসেছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন ‘মিকি মাউস’। তাঁর আগে মিকির হয়ে গলা দিয়েছিলেন আরও দু’জন। রুসির সঙ্গে ওয়েনের সাক্ষাতের পরেই জমে উঠেছিল প্রেম। ১৯৯১ সালে রুসি আর ওয়েনের চার হাত এক হয়।
ডিজনিল্যান্ডে গিয়ে খোদ ওয়াল্ট ডিজ়নির সঙ্গে দেখা হয়েছিল রুসির। তখন তিনি বালিকা। ওয়াল্ট ডিজনিকে তখন রুসি জানিয়েছিলেন বড় হয়ে তাঁরই সৃষ্টি কোনও কার্টুন চরিত্রের হয়ে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে মিনির চরিত্রের জন্য অডিশনের সুযোগ আসে। বাকিটা ইতিহাস। শুধু মিনি-ই নয়। পেবলস ফ্লিনস্টোন, স্ট্রবেরি শর্টকেক-এর মতো কার্টুন চরিত্রের হয়েও কণ্ঠ দিয়েছেন রুসি।