(Photo Credits: Twitter)

ওয়াশিংটন, ৩১ অক্টোবর: সিরিয়ার (Syria) উত্তরাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট (ISIS) প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির (Abu Bakr al-Baghdadi) আস্তানায় চলতি সপ্তাহে অভিযান চালিয়েছে আমেরিকা। সেই অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করল পেন্টাগন (Pentagon)। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাতে বাগদাদির আস্তানায় জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে সেনা। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে বাগদাদি যেখানে লুকিয়ে ছিল সেই বাড়িতে বোমা পড়ছে। আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি (Kenneth McKenzie) এই ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে বাগদাদি যে বাড়িতে ছিল সেই বাড়ির কমপাউন্ডে বোমা ফেলতে ফেলতে আমেরিকার সেনারা হেলিকপ্টার থেকে নামছে ও বাগদাদির আস্তানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্য ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বাগদাদির আস্তানা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দিতে।

জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি বলেন, অভিযানে যাওয়া হেলিকপ্টার বাগদাদির আস্তানার ঠিক পাশের দুটি অবস্থান থেকে আইএসআইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডোরা কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়লে বাগদাদি একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেনারা পিছু নিলে সুড়ঙ্গের মধ্যে সে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। জেনারেল কেনেথ ম্যাকেনজি বলেছেন, ধ্বংস হওয়ারল পর বাগদাদির আস্তানা একটি পার্কিং লটের মতো লাগছিল, যেখানে বড় বড় গর্ত ছিল। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের আগে বাগদাদি নাকি ভেঙে পড়েছিল ও কান্নাকাটি করেছিল। এই দাবি করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শীর্ষ এই সামরিক কর্তা অবশ্য প্রেসিডেন্টের দাবির বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। আরও পড়ুন: Abu Bakr Al-Baghdadi Buried at Sea: ওসামা বিন লাদেনের মতো আইসিস প্রধান বাগদাদিরও সমুদ্র সমাধি দিল মার্কিন সেনা

সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "বাগদাদি দুই বাচ্চাকে নিয়ে একটি সুড়ঙ্গে হামাগুড়ি দিতে দিতে বিস্ফোরণ ঘটায়। যদিও তার বাকি লোকেরা তখনও উপরে ছিল। বাগদাদি কী প্রকৃতির মানুষ ছিল তা এই ঘটনাতেই অনুমান করা যাচ্ছে।" তাঁর আরও যোগ "সাধারণ মানুষের মৃত্যু এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছিল। তাছাড়া আস্তানায় অনেক শিশু থাকবে বলে আমরা আগেই সন্দেহ করিছিলাম। সেই কারণে তাদের রক্ষা করার বিষয়টিও আমাদের মাথায় ছিল।" তিনি জানান, আত্মঘাতী পোশাক করে আরও ৪ জন মহিলা আত্মঘাতী হয়। বিস্ফোরণের জেরে এক পুরুষ নিহত হয়। স্পেশাল ফোর্সের গুলিতে আরও অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানান ম্যাকেনজি।

আমেরিকার শীর্ষ সামরিক কর্তা জানান, বাগদাদির ডিএনএ নমুনা তাদের কাছে ছিল। ২০০৪ সালে ইরাকের কারাগারে বাগদাদির বন্দি থাকার সময়ে ওই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই নমুনার সঙ্গে মিলিয়েই বাগদাদিকে শনাক্ত করা হয়। কেনেথ ম্যাকেনজি জানান, অভিযান শেষে বাগদাদির দেহবাশেষ শনাক্ত করা জন্য একটি অস্থায়ী সেনাঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাগদাদির দেহ সমুদ্রে সমাহিত করা হয়।