নিউজিল্যান্ড, ৯ ডিসেম্বর: নিউজিল্যান্ডে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি (volcano)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের পর্যটন ক্ষেত্রে হোয়াইট আইল্যান্ডে (White Island)। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপটিতে পর্যটকে গমগম করে। সোমবারও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপটির দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। আগ্নেয়গিরি জেগে উঠতেই ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল গোটা দ্বীপ চত্বর। পর্যটকরা প্রাণভয়ে চোটাছুটির করার সুযোই পাননি। ছলকে ওঠা লাভায় ততক্ষণে অধিকাংশই আহত হয়েছেন। এখনও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজের সংখ্যা অগুন্তি। আগুনের কবল থেকে এখনও পর্যন্ত ২৩জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে বাকিদের আদৌ উদ্ধার করা যাবে কিনা তানিয়ে রীতিমতো সংশয় দেখা দিয়েছে। কেননা আগ্নেয়গিরি থেকে লাগাতার অগ্ন্যুৎপাত চলছে।
এর মধ্যে উদ্ধার কার্য চালালে বিপদের সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে সেদেশের প্রশাসন। নিউজিল্যান্ডের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জন টিমস (Deputy Police Commissioner John Tims) জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ৫০-এর মতো পর্যটক ওই দ্বীপে ছিলেন। তবে বেসরকারি হিসেব বলছে সংখ্যাটি শতাধিক। এটি একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন দ্বীপ। সাধারণত ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। দেশ বিদেশের পর্যটকরা এই দ্বীপ দর্শনের টানে নিউজিল্যান্ডে ছুটে আসেন। এদিন স্থানীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বেশ কিছু অস্ট্রেলীয় পর্যটকও ছিলেন। আহতদের তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। নিখোঁজ পর্যটকদের অনেকেই অস্ট্রেলিার নাগরিক। রেডিও নিউজিল্যান্ডের (Radio New Zealand) রিপোর্ট বলছে অগ্ন্যুৎপাতে আহতদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরও পড়ুন-US Resumes Talks With Taliban: আবারও তালিবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু অ্যামেরিকার
Police can confirm five people are now confirmed to have died in the White Island volcanic eruption.
Our sincere condolences are with their family and friends.
A number of people have been injured and taken to hospital.
MORE HERE: https://t.co/cwNnNFcNa3 pic.twitter.com/FyVekb8sG5
— New Zealand Police (@nzpolice) December 9, 2019
— Michael Schade (@sch) December 9, 2019
তথ্য বলছে স্থানীয় সময় বেলা একটা বেজে ১১ মিনিটে জেগে ওঠে আগ্নেয়গিরি। সঙ্গে সঙ্গেই গরম লাভার উদগীরণ শুরু হতেই পর্যটকদের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। বাঁচার আশায় প্রায় সবাই আর্তনাদ করতে শুরু করে। মুহুর্মুহু অগ্ন্যুৎপাতে গোটা দ্বীপটি ততক্ষণে বিপর্যস্ত। জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, যেকোনও মুহূর্তে জেগে উঠতে পারে নিউজিল্যান্ডের এই হোয়াইট আইল্যান্ড। তারপরেও কীকরে সেখানে এক সঙ্গে এতগুলো দর্শকের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল তানিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে আগ্নেয়গিরির বিযাক্ত ছাই উড়ে আসছে মূল ভূখণ্ডে। কতদিন ধরে এই অগ্ন্যুৎপাত চলবে তা এখনও স্থির করে জানা না গেলেও এটি নিশ্চিত হোয়াইট আইল্যান্ডে ছাইয়ে ঢাকবে নিউজিল্যান্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা।