কাবুল, ১৪ ফেব্রুয়ারি: একের পর এক তুষার ধসে (avalanches) বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। এই ভয়াল প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মুখপাত্র আহমদ তামীম আজিমি জানিয়েছেন, মধ্য দেয়কুন্দি প্রদেশে বৃহস্পতিবার এই তুষার ধসের জেরে সাত জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই আঘাত গুরুতর। যে ২১ জনের মৃথ্য়ুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁর প্রত্যেকেই দুটি পরিবারের সদস্য। ৫০টি বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই উদ্ধারকারী দল ওই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালাচ্ছে। কেউ আটকে আছেন কি না তা জানতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার অভিযান।
তিনি জানিয়েছেন, প্রবল তুষার পাত ও তুষার ধসের জেরে সমস্ত জাতীয় ও রাজ্য সড়ক বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই নিদারুণ ঠান্ডায় মৃত্যু মিছিল বেড়েই চলেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আফগানিস্তানের ওই প্রদেশ। চলতি শীতে বন্যা, ধস, তুষারপাতে একেবারে জর্জরিত আফগানিস্তান। গত দুমাসে প্রায় এই ধস ও ঠান্ডার শিকার হয়েছেন ৭২ জন। বন্যায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে ২৪০০ বাড়ি। ১৯৭৯ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকেই চার দশক ধরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। আরও পড়ুন-Marriage Proposal On Google Maps: ‘তুমি কি আমায় বিয়ে করবে?’ জার্মান যুবকের বিয়ের প্রস্তাব গুগল ম্যাপে; ব্যাপারটা কী?
তবে তুষার ধস, বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি দেশের মেরুদণ্ডকে পুরো গুঁড়িয়ে দেয়। এই বিপর্যয়ের জেরে একটু একটু গড়ে ওঠা শহরটা আবার ধ্বংসের মুখে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে প্রতিটা মানুষ অসহায়।