লন্ডন, ১০ জানুয়ারি: ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য (British royal family) বা সিনিয়র রয়্যালস খেতাব চান না, তাই প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল। তাঁ তাঁদের মূর্তি মাদাম তুসোর মিউজিয়াম থেকে অন্যতের সরিয়ে দেওয়া হল। গত কাল সন্ধে সাড়ে ছ’টায় মেগান ও হ্যারি তাঁদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনিয়র রয়্যালস খেতাব পরিত্যাগের বিষয়টি ঘোষণা করেন। এই বিবৃতিতেই তাঁরা জানিয়েছেন, এ বার থেকে ব্রিটেন এবং উত্তর আমেরিকাতেও থাকবেন তাঁরা। মেগানের মা ডোরিয়া র্যাগল্যান্ড থাকেন কানাডায়। মেগানদের কথায়, ‘‘দু’টি ভৌগোলিক অবস্থানে আমাদের ছেলে আর্চি বেড়ে উঠলে একই সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্য এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাপন, এই দু’টির সম্পর্কেই তার ধারণা জন্মাবে।’’
শুধু রাজ পরিবারের খেতাবই নয়, রাজসূয় সম্স্ত সুয়োগ সুবিধা ছেড়ে একেবারে সাধারণ মানুষরে মতো জীবন যাপন ও উপার্জনের চেষ্টা করবেন দুজনে। তবে কোনও পথে তাঁদের কাজ এগোবে তানিয়ে এখনই হ্যারি বা মেগান মুখ খোলেননি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা মেগান হয়তো ফের টেলিভিশনে ফিরতে পারেন, কেননা মার্কিন অভিনেত্রী হিসেবে মেগান কিন্তু এখনও বেশ জনপ্রিয়। এই ঘটনা ৮৪ বছর আগে রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের সিংহাসন ছাড়ার কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। ব্রিটিশ সিংহাসনের ষষ্ঠ দাবিদার হ্যারির এই সিদ্ধান্ত অনেকটা তাঁরই মতো। রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড দু’বারের বিবাহবিচ্ছিন্না মার্কিন নাগরিক ওয়্যালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য ১৯৩৬ সালে সিংহাসন ত্যাগ করেন। সেই সময় রাজা হন বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ। মেগানও মার্কিন নাগরিক এবং বিবাহবিচ্ছিন্না। আরও পড়ুন-Donald Trump: ‘ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মার্কিন সেনার কোনও ক্ষতি হয়নি, সবাই সুস্থ আছে’, কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?(দেখুন ভিডিও)
তবে হ্যারি-মেগানের এই ঘোষণায় ‘ব্যথিত’ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানি বা বাবা যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে আলোচনা না করেই যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। তাতেও ‘হতাশ’ হয়েছে রাজপরিবার। হ্যারিদের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের ঠিক দেড় ঘণ্টা পরে বাকিংহামের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘‘ডিউক আর ডাচেস অব সাসেক্স যে অন্য ভাবে জীবন কাটাতে চাইছেন, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। তাঁদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে এটি একটি অত্যন্ত জটিল বিষয়।’’