BGB-র ডিজি শফিনুল ইসলাম (Photo: ANI)

ঢাকা, ৩ জানুয়ারি: অসমে NRC-র তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর ভারত থেকে ৪৪৫ জন বাংলাদেশি ভারত থেকে ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার একথা জানালেন বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের (BGB) ডিজি শফিনুল ইসলাম (Shafeenul Islam )। তিনি বলেন, "২০১৯ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ সীমান্ত পারাপারের জন্য প্রায় এক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সেই সংখ্যাটা হল ৪৪৫। যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে। এরা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে গেছিল। তার পর সেখান থেকে ফিরে এসেছিল।" তিনি জানান, স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের পরিচয় যাচাই করার পরে বিজিবি জানতে পেরেছিল যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরাই বাংলাদেশি। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ করার জন্য ২৫৩টি মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে এদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন মানব পাচারকারী (Human traffickers)। বিজিবি-র ডিজি আরও বলেন, এই ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে কোনও উত্তেজনা তৈরি করতে পারেনি।

গত সপ্তাহে শফিনুল ইসলাম ভারত সফর এসেছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দিল্লিতে তিনি বলেছিলেন যে এনআরসি সম্পূর্ণভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা খুব ভালো। তিনি বলেন, বিজিবি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধে কাজ চালিয়ে যাবে। আরও পড়ুন: Bangladesh On NRC: 'NRC ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়', দিল্লিতে স্বস্তি দিয়ে বললেন বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের DG শফিনুল ইসলাম

দিল্লিতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) ডিজি-র সঙ্গে পাঁচ দিন বৈঠকের পরে ঢাকায় ফিরে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর ডিজি সাফিনুল। সে দিনই তিনি নতুন সংখ্যার কথা জানান। এর আগে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিজিবি-প্রধান জানিয়েছিলেন, ২০১৯-এর গোটা বছরে কাগজপত্র ছাড়া ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময়ে ৩০০ জন ধরা পড়েছিলেন। তাঁরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। কাজের খোঁজ বা অন্য প্রয়োজনে অবৈধ ভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ফিরে তিনি বলেন, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত পাঁচদিনের আলোচনার সময় বিজিবি দাবি করেছিল যে বিএসএফকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু ২০১৫ সালে হতাহতের সংখ্যা বাড়ে।

বিজিবি প্রধান বলেছেন, "২০১৮ সালে সীমান্ত হত্যার সংখ্যা গত চার বছরে সর্বোচ্চ ছিল। আমাদের গণনা অনুসারে, এই ধরনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫।" তবে তিনি জানান, বিএসএফের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিজিবি-র হিসাবের তুলনায় অনেক কম। ইসলাম বলেন, "সীমান্ত অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পরেও বিএসএফ সর্বাধিক সংযম এবং ন্যূনতম শক্তি ব্যবহারের নীতি অনুসরণ করছে।"