গত সোমবার থেকে গাজার খান ইউনিসে (Khan Yunis) শুরু হয়েছে ইজরায়েলি সামরিক অভিযান। আর তাতে এখনও পর্যন্ত ১৭০ জনে প্যালেস্তাইন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা শতাধিক। গাজায় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বহু মানুষ। জাতিসংঘের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮ লক্ষ খান ইউনিসের বাসিন্দা নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে পালিয়েছে। জানা যাচ্ছে, রকেট লঞ্চার, উন্নত মানের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুড়িয়ে ফেলা হয়েছে একাধিক প্যালেস্তাইন বাসিন্দাদের বাড়ি। সোমবারের আগে থেকেই ইজরায়েলি সেনার পক্ষ থেকে খান ইউনিসের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়ছিল। কিন্তু অনেকেই তা মানেনি। যার ফলে সোমবার থেকে হামলা হওয়ার পর বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন।
যদিও বর্তমানে গাজায় ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে আছে ইজরায়েলি সেনা। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে গাজায় দফায় দফায় হামলা করার পর অবশেষে খানিকটা চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। মূলত, এই হামলার কারণে ইজরায়েলের মিত্রদেশ আমেরিকা বেজায় চলে যাচ্ছিল। বারংবার নেতানিয়াহুকে থামার নির্দেশ দিলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। যে কারণে বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। আর সেখান থেকেই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন তিনি।
যদিও এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে নৈতিক জয় হিসেবে মেনে নিচ্ছে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া। তাঁর দাবি, প্যালেস্তাইনের জনগণের জন্যই ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকী কাতার ও মিশরকেও এরজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন হানিয়া। তবে চারদিন বাদে আবার কী যুদ্ধ চালু হবে সেই নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি নেতানিয়াহু। আর এরমধ্যে হামাসগোষ্ঠী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ইজারায়েলি হামলায় লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশুও রয়েছে।