কলকাতা, ১৫ মার্চ: তৃণমূলে (TMC) যোগদানের পর নতুন দায়িত্ব পেলেন বরিষ্ঠ নেতা যশবন্ত সিন্হা (Yashwant Sinha)। দলের সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হল প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে। সেই সঙ্গে ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবেও তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য যা একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে রীতিমতো চমকে দেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন,'দেশের গণতন্ত্র ভেঙে পড়ছে। পরিস্থিতি ভয়ানক, কৃষক আন্দোলন নিয়ে তিনি মর্মাহত, তাই আবার রাজনীতির মঞ্চে ফিরছি। তিনি আরও বলেন, 'কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। কেন্দ্রে যে শাসক তারা শুধু নির্বাচনী জয়লাভ করেন। অটল বিহারি বাজপেয়ীর সময়ের বিজেপি এবং বর্তমান সময়ের বিজেপির মধ্যে রয়েছে। অটলজি একটি জোট সরকার চেয়েছিলেন। পুরনো সহযোগীরা বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছেন। মমতা ব্যানার্জি আর আমি একই ক্যাবিনেটে কাজ করেছি। আজ সমস্ত শক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। বাংলাই আগামীদিনের পথপ্রদর্শক হবে। এই বিধানসভা নির্বাচন কেবলমাত্র বাংলার জন্যই নয়, ২০২৪ সালের সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যেও বড় ভূমিকা পালন করবে।' আরও পড়ুন, ফাগুন শেষে তপ্ত রাজ্য, বৃষ্টির দেখা নেই
উল্লেখ্য, যশবন্ত সিন্হা প্রাক্তন ভারতীয় প্রশাসক, রাজনীতিবিদ এবং প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের অধীনে ১৯৯০–১৯৯১ পর্যন্ত এবং প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অধীনে দল ছাড়ার আগে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির বরিষ্ঠ নেতা ছিলেন। তাঁর পুত্র জয়ন্ত সিনহা একজন পরামর্শদাতা এবং বিনিয়োগকারী, হাজারীবাগ আসনের ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন এবং নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন সিভিল অ্যাভিয়েশন প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জুনে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্র হন। ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে তিনি অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০২ সালের ১ জুলাই তিনি বিদেশমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হাজারীবাগ নির্বাচনী এলাকায় পরাজিত হন। তিনি ২০০৫ সালে পুনরায় সংসদে প্রবেশ করেন। ১৩ জুন ২০০৯-এ তিনি বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।