কলকাতা, ২৬ নভেম্বর: ফের সাতসকালে মেট্রোয় (Kolkata Metro) ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক যাত্রীর। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ ময়দান মেট্রো স্টেশনের ডাউন লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক তরুণী। তবে গুরুতর আহত হলেও তরুণীর উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তড়িঘড়ি তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। যদিও চিকিৎসাধীন তরুণীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে কাজের দিনে এই আত্মহত্যার চেষ্টার কারণে সাময়িক ভাবে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচল। তবে নোয়াপাড়া থেকে সেন্ট্রাল এবং টালিগঞ্জ অর্থাৎ মহানায়ক উত্তর কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সচল ছিল।
সকালবেলা অফিসের ব্যস্ত সময়ে মেট্রো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে নাকাল হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। রেক সরানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। গত মাসেই চারদিনের মধ্যে পরপর দু’বার এমন ঘটনা ঘটেছিল কলকাতা মেট্রোয়। ১৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে দমদমগামী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেয় এক স্কুলপড়ুয়া। ঘটনার জেরে প্রায় ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকে পরিষেবা। ওই সপ্তাহেরই সোমবার ১৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশনে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রামগড়ের বাসিন্দা হারানচন্দ্র মজুমদার। সেদিনও প্রায় আধঘণ্টা টালিগঞ্জ থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত আপ এবং ডাউন লাইনে বন্ধ ছিল পরিষেবা। আরও পড়ুন-Sabarimala Temple: আজ শবরিমালায় প্রবেশ করবই কেউ আটকাতে পারবে না, কোচি পৌঁছে জানান দিলেন সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই
নিত্যযাত্রীদের একাংশের কথায়, “দিন দিন বেড়েই চলেছে মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা। দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। অথচ মেট্রো কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। ওরা সচেতন হলে কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে সেটাই বুঝতে পারি না।” বলাবাহুল্য, আত্মহত্যার ইচ্ছে না থেকেও গত জুলাইতে সজল কাঞ্জিলালে মৃত্যু কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে বিরাট ক্ষত ছাড়া কিছু না। মেট্রোর দরজায় হাত আটকে বাইরেই ঝুলেছিলেন সজলবাবু। যাত্রীদের চেঁচামেচিতে চালকের হুঁশ ফিরলেও শেষরক্ষা হয়নি। থার্ডলাইনে পড়ে মারা যান সজল কাঞ্জিলাল নামের ওই নিত্যযাত্রী।