বর্তমানে আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ রয়েছে ট্যাংরার (Tangra) দে পরিবারের ছেলে প্রতীপ দে। আর সে সুস্থ হতেই রাজ্য শিশু কমিশনের কাছে বড় দায়িত্ব, নাবালক কোথায় বড় হবে? তাঁকে কি কোনও হোমে দেওয়া হবে? নাকি আত্মীয় পরিজনের মধ্যে কারোর কাছে থাকবে? অথবা তাঁরা দায়িত্ব না নিলে অন্য কোনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে? যদিও কমিশনের ইচ্ছা প্রসূনের শ্বশুর-শাশুড়িকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হোক। সেক্ষেত্রে ভরনপোষণের জন্য নাবালক সাবালক হওয়া পর্যন্ত সরকারি স্কিমে মাসোহারা দেওয়া হবে। এই নিয়ে নাবালক ও তাঁর দাদু-দিদুনের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এরমধ্যেই গত মঙ্গলবার এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশনের দুই সদস্যকে চাঞ্চল্যকর বয়ান দেয় প্রসূনের ছেলে।

শরীরচর্চার কারণে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরে নাবালক

বয়ান অনুযায়ী, ঘটনার আগের দিন রাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস সেও খেয়েছিল। কিন্তু যোগা বা শরীরচর্চা করার কারণে তাঁর তেমন কিছু হয়নি। সকালে কিছুক্ষণ মরার ভান করে বিছানায় পড়েছিল সে। তারপর ঘুম থেকে উঠে আশেপাশের ঘরে গিয়ে দেখে মা, কাকীমা ও দিদির দেহ পড়ে আছে। এই অবস্থা দেখে সে ভেঙে পড়ে। এমনকী যে সময় মরার ভান করে বিছানায় পড়েছিল তখন তাঁর কাকা প্রণয় দে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মুখে বালিশ চাপাও দেয়। কিন্তু সেই সময় কিছুক্ষণ শ্বাসরোধ করে রেখেছিল সে। তাই তাঁর মৃত্যু হয়নি।

আগে থেকেই আত্মহত্যার আঁচ পেয়েছিল নাবালক

এমনকী সকলকে খুন করে প্রসূন ও প্রণয় ছাঁদে উঠেছিলেন আত্মহত্যা করার জন্য। কিন্তু তাঁরা ফিরে এসে নাবাললকে নিয়ে গাড়ি করে বেরিয়ে পড়েন। কমিশনের সদস্যদের বয়ান দেওয়া সময় আক্ষেপের সুরে প্রতীপ বলেন, আগের রাতে যখন আত্মহত্যার জন্য সকলে পরিকল্পনা করছিল তখন সে ছোট বলে তাঁকে অন্য ঘরে নিয়ে বসতে বলা হয়। সে তখন কমবেশি এই বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। সে জানত যে বাবা-কাকারা বিপুল টাকার দেনায় ডুবে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যদি আলোচনা করত তাহলে সে টাকা উপার্জনের আরও কোনও আইডিয়া দিতে পারত বলে দাবি করে।