কলকাতা, ১৭ অক্টোবর: বাতাসে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। সকালের দিকে হালকা শিশিরে ভিজছে ঘাস। তবে এবছরের মতো বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ভারতে (South India)। উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর ফলে বৃষ্টি হচ্ছে কর্ণাটক (Karnataka) ও কেরালায় (Kerala)। এদিকে বাংলায় আগামী ৭২ ঘণ্টায় উপকূলবর্তী জেলাসহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ দক্ষিণবঙ্গে সকাল থেকে আকাশ পরিস্কার ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া ও দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অন্যান্য রাজ্যেও। আগামী ২ দিনে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট এইমুহূর্তে ভারী বৃষ্টি হবে না। বেশিরভাগ স্থানেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। আরও পড়ুন, কালীপুজো মিটলেই দুই ফুল রুখতে রাস্তায় একযোগে নামছে হাত-কাস্তে হাতুড়ি তারা
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকছে। বুধবার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬২ থেকে ৯৬ শতাংশ। উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু ছাড়াও দক্ষিণ কর্ণাটকের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে যার থেকে একটি অক্ষরেখা শ্রীলংকা পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর তামিলনাড়ু উপকূল থেকে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে এই মুহূর্তে কোনও ঘুর্ণাবর্ত নেই। ফলে অল্পবিস্তর বর্ষণে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ। চিন্তার বিশেষ কারণ নেই।